ব্লুমবার্গকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী
ইরাকে বিদেশি সেনা উপস্থিতির ধারণা প্রত্যাখ্যান করলেন প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানি
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহম্মাদ শিয়া আল-সুদানি আবারো বলেছেন, তার দেশে বিদেশি সেনা উপস্থিতির ধারণা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি তার দেশ থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দেয়ার অবকাশে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী গতকাল (বৃহস্পতিবার) মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। এক প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের রাষ্ট্রীয় অবস্থান খুব পরিষ্কার। ইরাকের মাটিতে বিদেশী কোনো সেনা উপস্থিতির প্রয়োজন নেই।”
আল-সুদানি আরো বলেন, 'ইরাকের মাটিতে আমরা নিজেরাই নিরাপত্তা রক্ষা করতে সক্ষম। এর আগে গত মাসেও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে দেশের সামরিক বাহিনীর আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ইরাকের মাটিতে বিদেশি সেনাদের উপস্থিতি আর কোনো প্রয়োজন নেই।
২০০৩ সালের ২০ মার্চ মার্কিন সরকার ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালায়। গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্রের মিথ্যা অভিযোগে দেশটিতে আগ্রাসন চালানোর মধ্য দিয়ে ইরাকে ধ্বংসযজ্ঞ, হত্যা এবং ভয়াবহ গোলযোগপূর্ণ অবস্থা তৈরি করে। ২০১১ সালে বেশিরভাগ সেনা প্রত্যাহার করা হলেও ২০১৪ সালে আবার উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে মার্কিন সরকার ইরাকে সেনা মোতায়েন করে। ইরাকে এখন প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২২