সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে ২ মার্কিন নাগরিকক মুক্তি দেয়া হয়েছে: হামাস
আরো ২ ইসরাইলি নারীকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল হামাস, নেয়নি ইসরাইল
-
ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবায়দা
মানবিক কারণে নিজেদের হাতে আটক আরা দুই ইসরাইলিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দালন হামাস। কিন্তু ইহুদিবাদী কর্তৃপক্ষ ওই দুই বন্দিকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল (শনিবার) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেন, “মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা আরো দুই ইসরাইলি নারী- নোরিত ইতশাক ও ইয়োখেফেদ লিফশিৎজকে মুক্তি দিতে চাই বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমাদের কাতারের ভাইদের জানিয়েছিলাম। এর বিনিময়ে আমরা কিছুই চাই না। কিন্তু ইসরায়েলের দখলদার সরকার তাদের নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।”
এর আগে আল-কাসসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু উবায়দা জানিয়েছিলেন, তাদর হাতে ৭ অক্টোবরের অভিযানে আটক প্রায় ২৫০ জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে তার ব্রিগেডসের হাতে রয়েছে ২০০ জিম্মি এবং বাকিরা রয়েছে ইসলামি জিহাদসহ অন্যান্য সংগঠনের কাছে।
শুক্রবার দুই মার্কিন নারী জুডিথ রানান এবং তার মেয়ে নাতালি রানানকে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের মুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করে কাতার।হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য গাজি হামাদ বলেন, ‘সদিচ্ছা’র প্রমাণ দিতে তারা ওই দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছেন।
এদিকে আটক দুই ব্যক্তিকে গ্রহণ করতে ইসরাইলের অস্বীকৃতির কড়া সমালোচনা করেছেন হামাসের মুখপাত্র খালেদ আল-কাদ্দোমি। তিনি বলেন, এ থেকে প্রমাণিত হয় রক্তপাত বন্ধে আগ্রহী নয় ইসরাইল।
খালেদ বলেন, “নিতান্তই মানবিক অবস্থা বিবেচনায় আমরা তাদেরকে আমাদের ভাই কাতারের মাধ্যমে নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিলাম। আমরা গত রাতে বিষয়টি অবহিত করেছি। আমরা এর বিনিময়ে কিছুই দাবি করিনি।”
হামাস মুখপাত্র বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইসরাইল সরকার তাদের গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। এতে প্রমাণিত হয়, দখলদার সরকার সমস্যা সমাধানে আন্তরিক নয় এবং তারা রক্তপাত বন্ধ করতেও প্রস্তুত নয়।#
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/২২