ইরানের অগ্রগতির খবর
বিশ্বে জ্ঞান-বিজ্ঞানে ইরানি নারীদের অবস্থান
-
ডঃ রোজা রহিমি "বায়োনোরিকা ফাইটোনিয়ারিং ২০২৫" পুরস্কার জিতেছেন
পার্স টুডে - পরিসংখ্যান দেখায় যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান, ইসলামী মূল্যবোধের ওপর নির্ভর করে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নারীর মর্যাদার উন্নয়ন ও নারী ও পুরুষের সমতা অর্জনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা ও অধ্যয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইরানি নারীরা শক্তিশালী উপস্থিতি অর্জন করেছে।
ইরানের ইসলামিক কনসালটেটিভ অ্যাসেম্বলি তথা মজলিসে শুরায়ে ইসলামীর (জাতীয় সংসদ) নারী ও পরিবার বিভাগের প্রধান জাহরা খোদাদাদি সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে আজ ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকদের ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী।ইরানি নারীরা চিকিৎসা, প্রকৌশল, আইন, মানবিক বিজ্ঞানের নানা শাখা, তথ্য প্রযুক্তি এবং শিল্প সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন।
ইরানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পরীক্ষার কত শতাংশ প্রার্থী নারী?
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হোসেইন সিমাই-সরফ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ইরানি নারীদের স্বাগত জানানো এবং কলেজ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উচ্চ সংখ্যক নারী প্রার্থীর কথা উল্লেখ করে বলেছেন: ইরানে ঘোষিত পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য মনোনীয় প্রায় ৬৩ শতাংশ প্রার্থী নারী।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্বাধিক উদ্ধৃত গবেষকদের তালিকায় ১৮ ইরানি নারী গবেষক
অন্যদিকে, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সাইটেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন নারী গবেষক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্বাধিক উদ্ধৃত গবেষকদের তালিকায় রয়েছেন।
ইরানি নারী বিজ্ঞানীর মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক পুরস্কার লাভ
এদিকে, তেহরান মেডিকেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরানি মেডিসিন অনুষদের ঐতিহ্যবাহী ফার্মেসির অধ্যাপক ড. রোজা রহিমিকে ২০২৫ সালের বায়োনোরিকা ফাইটোনিয়ারিং পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জার্মান কোম্পানি বায়োনোরিকার পক্ষ থেকে অসাধারণ গবেষকদের জন্য নির্ধারিত এই আন্তর্জাতিক পুরস্কারটি ফাইটোফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের (উদ্ভিদ এবং উদ্ভিদ যৌগ থেকে তৈরি ওষুধ) উন্নয়ন এবং প্রয়োগে অসামান্য গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ।
১২টি পেটেন্টধারী ইরানি নারী "বিবি ফাতেমেহ হাঘির-সাদাত"
একজন বিশিষ্ট ইরানি নারী, নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামের VUMC বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যানোমেডিসিনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং তিনি তিনটি জ্ঞান-ভিত্তিক পণ্য তৈরি করতে পেরে গর্বিত ১২টি পেটেন্টের ধারক এবং ৭০টিরও বেশি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রকল্প পরিচালনা করছেন। #
পার্স টুডে/এমএএইচ/১১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।