অনাহারকে ‘যুদ্ধাস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরাইল: অক্সফাম
(last modified Thu, 26 Oct 2023 04:01:55 GMT )
অক্টোবর ২৬, ২০২৩ ১০:০১ Asia/Dhaka
  • ফিলিস্তিনিরা গাজার দক্ষিণাংশে অবস্থিত রাফাতে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া খাবারের অংশ পেতে জড়ো হচ্ছে।
    ফিলিস্তিনিরা গাজার দক্ষিণাংশে অবস্থিত রাফাতে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া খাবারের অংশ পেতে জড়ো হচ্ছে।

ইসরাইলের পৈশাচিক হামলার শিকার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জন্য অবিলম্বে খাদ্য ও খাবার পানিসহ জরুরি পণ্য সরবরাহ করার আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম। সংগঠনটি ইসরাইলের নাম উল্লেখ না করে বলেছে, গাজায় অনাহারকে ‘যুদ্ধাস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করার একই সময়ে সেখানে খাদ্য, খাবার পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয় মানবতার শত্রু ইসরাইল।সেইসঙ্গে মিশরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে যাতে এসব জরুরি পণ্য উপত্যকায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ইসরাইল ও তার পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকরা নানারকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে।

চারদিক দিয়ে গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীকে অবরুদ্ধ করে রেখে সেখানে গত ১৯ দিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। আর এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞকে ইসরাইলের  ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ বলে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে মানবাধিকারের কথিত পশ্চিমা রক্ষকেরা।

জাতিসংঘ গাজায় একটি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি ইসরাইলকে গাজায় আরো ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিদিন গাজায় যেখানে কয়েকশ’ টন জরুরি পণ্য প্রয়োজন সেখানে গত ১৯ দিনে মাত্র ৭০টি ট্রাক প্রবেশ করেছে।

অক্সফাম গতকাল (বুধবার) এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রয়োজনের মাত্র ২ শতাংশ খাদ্য প্রবেশ করেছে। এটি বলেছে, খাদ্য সংকট থেকে গাজাবাসীকে রক্ষা করতে হলে প্রতিদিন শুধু খাদ্যবাহী ১০৪টি ট্রাককে উপত্যকায় প্রবেশ করতে দিতে হবে।

অক্সফামের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক পরিচালক স্যালি আবি খলিল বলেছেন, “পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণে করেছে- মানবতা আজ কোথায়? গোটা বিশ্ববাসীর চোখের সামনে ২৩ লাখ মানুষকে গণশাস্তি দেয়া হচ্ছে। অনাহারকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কোনো বৈধতা বা ন্যায্যতা থাকতে পারে না। বিশ্ব নেতারা মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। তাদের অবশ্যই দায়িত্ব রয়েছে এবং তা এখনই পালন করতে হবে।”

অক্সফাম যখন এ আহ্বান জানিয়েছে তখন গাজায় খাবার ও পানির তীব্র হাহাকার চলছে। আগে থেকেই নাজুক পরিস্থিতিতে থাকা গাজাবাসীর অনেকের এখন অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার অর্ধেকের বেশি অধিবাসী গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। সামান্য ত্রাণসহায়তায় নির্ভরশীল তারা। দাতব্য সংস্থাগুলোর দেওয়া খাবারের জন্য মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে গাজাজুড়ে। সংস্থাগুলো বলছে, তাদের কাছে যে খাবার আছে, তা দিয়ে এত সংখ্যক মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ