নেতানিয়াহুর খায়েশ
গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরাইল!
ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে তেল আবিব। তিনি বলেন, হামাসের সঙ্গে চলমান এই যুদ্ধের অবসানের পর গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইসরাইলের হাতে থাকবে। আমেরিকার এবিসি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু এসব কথা বলেন।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, যদি তারা এই যুদ্ধে সফল হতে পারে তাহলে গাজার ব্যাপারে ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদি কী পরিকল্পনা রয়েছে। জবাবে নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনা মোতায়েনের কথা বলেন।
যুদ্ধবাজ নেতানিয়াহু আরো বলেন, "অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাজায় সেনা মোতায়েন থাকবে এবং নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়টি তারাই দেখবে। কারণ আমরা দেখেছি যখন সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের হাতে থাকে না তখন সেখানে কী ঘটে।"
এর আগে গত মাসে ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছিলেন, গাজার মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপনের দায়-দায়িত্ব ইসরাইলি সেনারা নেবে না। তখন তিনি গাজা উপতক্যার নিরাপত্তার দায়িত্ব তৃতীয় কোনো পক্ষের হাতে ন্যস্ত করার কথা বলেছিলেন। সেক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য তারই মন্ত্রিসভার সদস্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। এমনকি যে আমেরিকা হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান বর্বর আগ্রাসনের পক্ষে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছে, সেই মার্কিন সরকারও গাজায় নতুন করে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সিবিএস টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ইসরাইল যদি গাজায় দখলদারিত্ব কায়েম করে তাহলে তা হবে বড় ভুল।”
এর বাইরে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের সমস্ত প্রতিরোধকামী সংগঠন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, গাজায় যদি ইসরাইল স্থল অভিযান চালায় এবং হামাসকে নির্মূল করার চেষ্টা করে তাহলে যুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।