গাজার হাসপাতালে হামলা চালানোকে ‘বৈধ’ বলছে দখলদার ইসরাইল
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i130744-গাজার_হাসপাতালে_হামলা_চালানোকে_বৈধ’_বলছে_দখলদার_ইসরাইল
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে হামলা চালানোকে ‘বৈধ’ ঘোষণা করে ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী সাবেক টুইটার বা এক্সে একটি পোস্ট দিয়ে তা আবার ডিলিট করে দিয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনের হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সগুলি ‘সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কাজেই হামলা চালানোর জন্য এগুলো ‘বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু।’
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
নভেম্বর ১৪, ২০২৩ ০৯:৪৬ Asia/Dhaka
  • গাজার আতঙ্কিত শিশু ও বৃদ্ধা
    গাজার আতঙ্কিত শিশু ও বৃদ্ধা

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে হামলা চালানোকে ‘বৈধ’ ঘোষণা করে ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনী সাবেক টুইটার বা এক্সে একটি পোস্ট দিয়ে তা আবার ডিলিট করে দিয়েছে। ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনের হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সগুলি ‘সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কাজেই হামলা চালানোর জন্য এগুলো ‘বৈধ সামরিক লক্ষ্যবস্তু।’

ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও তার যোদ্ধারা হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে নিজেদের সামরিক কাজে ব্যবহার করে। এ বিষয়টিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি’ দাবি করে বলা হয়, হামাসের এই তৎপরতার কারণে এসব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হামলা চালানোর বৈধতা রয়েছে।

কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনে কোনো পরিস্থিতিতেই হাসপাতাল বা অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালানোকে বৈধতা দেয়া হয়নি বলে পরবর্তীতে পোস্টটি ডিলট করে দেয় দখলদার সেনারা।

এ সম্পর্কে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংস্থা- পিএলও’র সাবেক আইনি উপদেষ্টা দিয়ানা বুত্তু বলেছেন, ইসরাইল অতীতেও এ ধরনের দাবি করেছে কিন্তু কখনও তা প্রমাণ করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, ইসরাইল যদি তা করার চেষ্টাও করে তারপরও আমাদের মনে রাখতে হবে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইল যা করছে তা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান এবং এই মুহূর্তে তা বন্ধ করতে হবে।

এদিকে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি পাশবিকতা অব্যাহত রয়েছে। সেখানকার প্রতিটি সড়কে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে ইহুদিবাদী সেনারা। সর্বশেষ সোমবার গাজার বেইত লাহিয়া এলাকায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এছাড়া, গাজার প্রধান হাসপাতাল আল-শিফা মেডিক্যাল কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য হাসপাতালে নির্বিচারে গোলা ও গুলিবর্ষণ করে যাচ্ছে ইহুদিবাদী সেনারা।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যেকোনো হাসপাতাল বেসামরিক অবকাঠামো হিসেবে চিহ্নিত এবং সেখানে হামলা চালানোর অধিকার যুদ্ধরত কোনো পক্ষের নেই।  ১৯৪৯ সালে স্বাক্ষরিত জেনেভা কনভেনশনে বলা হয়েছে, ‘কোনো পরিস্থিতিতেই’ হাসপাতালগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো যাবে না বরং যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে এসব স্থাপনা রক্ষায় সচেষ্ট থাকতে হবে। এ অবস্থায় ইহুদিবাদী সেনারা হাসপাতালের অসুস্থ রোগী কিংবা সেখানে আশ্রয় গ্রহণকারী মানুষদের ওপর যে হামলা চালাচ্ছে তাকে সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ বলে মনে করছেন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।