শিশু ও নবজাতক হত্যায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের নয়া রেকর্ড
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i130802-শিশু_ও_নবজাতক_হত্যায়_ইহুদিবাদী_ইসরাইলের_নয়া_রেকর্ড
গাজার আবাসিক ভবন এবং চিকিৎসা কেন্দ্রে ইসরাইলি সেনাদের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইহুদিবাদী হানাদারদের সাথে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর প্রচণ্ড লড়াই এখনও চলছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
নভেম্বর ১৫, ২০২৩ ১৪:১৫ Asia/Dhaka

গাজার আবাসিক ভবন এবং চিকিৎসা কেন্দ্রে ইসরাইলি সেনাদের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইহুদিবাদী হানাদারদের সাথে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর প্রচণ্ড লড়াই এখনও চলছে।

'আল-আকসা তুফান' অভিযানের বর্তমান পর্যায়ে ইহুদিবাদী সেনাদের সর্বাত্মক হামলার পাশাপাশি সেখানকার জ্বালানী ও বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি এক কথায় বিপর্যয়কর। খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসাবিদদের মতে, আহত এবং অসুস্থদের জীবন বিপদাপন্ন, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সবাই। বিশেষ করে নবজাতক শিশুদের সেবার জন্য যেসব চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রয়োজনীয় সেগুলোর অভাবে শিশুদের জীবন গুরুতর বিপদের মধ্যে রয়েছে।

ইহুদিবাদী সেনাবাহিনী এই অসম যুদ্ধে একটি নতুন রেকর্ড গড়েছে। আগে তাদের রেকর্ড ছিল শিশু হত্যার ক্ষেত্রে, এবারের নয়া রেকর্ড নবজাতক হত্যার ক্ষেত্রে।  গাজার হাসপাতালে শিশুদের জন্মসনদ তৈরির জন্য নাম রাখার আগে তাদের মৃত্যু সনদ তৈরি করা হয়। গাজার শিশুরা নাম রাখার আগেই শহীদ হয়ে হচ্ছে। ইউনিসেফের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইসরাইলি সেনাদের বর্বর হামলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ফিলিস্তিনী শিশু শহীদ এবং ৯ হাজার শিশু আহত হয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সামরিক আগ্রাসনের ফলে ওই এলাকার প্রায় অর্ধেক উপরিকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে দখলদাররা গাজার জন্য একটি নয়া শহরের ভৌগোলিক নকশা আঁকার ব্যর্থ পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। তারা ২৫ হাজার হেক্টর কৃষিজমি ধ্বংস করেছে। পানি এবং বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধাগুলো অকেজো করে দিয়ে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনীকে তাদের পিতৃভিটা থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছে। এতোসব করেও ইসরাইলি সেনারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের লক্ষ্য ছিল গাজা থেকে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে নির্মূল করা। তাদের কর্মকর্তারা তাদের ওই লক্ষ্যের কথা বারবার উচ্চারণ করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে প্রতিদিনই হামাস যোদ্ধাদের হাতে ইসরাইলি সেনারা প্রাণও হারাচ্ছে সাঁজোয়া যান এবং মালও হারাচ্ছে। এই ঘটনাই প্রমাণ করছে গাজা যুদ্ধে হামাসই এখন পর্যন্ত বিজয়ী।  আল-কুদস ব্রিগেড নিয়মিতই ইসরাইলি সেনাদের বিভিন্ন অবস্থানে মিসাইল এবং রকেট হামলার নতুন নতুন খবর দিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী আল-আকসা তুফান অভিযানের শুরু থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ৩৬৩ সেনা, ৫৯ পুলিশ এবং তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শাবাকের ১০ এজেন্ট নিহত হয়েছে।#

পার্সটুডে/এনএম/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।