গাজায় গণহত্যা ও ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ সত্ত্বেও
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী সৌদি আরব: রাষ্ট্রদূত
ইহুদিবাদী বাহিনী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা চালানো সত্ত্বেও সৌদি আরব এখনও ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী। ব্রিটিশ সরকারের অর্থে পরিচালিত গণমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াদের এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন লন্ডনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বন্দর।
তিনি বলেছেন, গত বছরের শেষ দিকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সৌদি আরব। তবে ৭ অক্টোবর গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো আল-আকসা তুফান অভিযান চালানোর পর সে প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
প্রিন্স বন্দর বলেন, গাজায় ‘ব্যাপক মাত্রায়’ হতাহতের ঘটনা সত্ত্বেও সৌদি আরব এখনও মনে করে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সৌদি রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষেও কথা বলার ভাব করেন। তিনি বলেন, গাজা একটি ‘মানবিক বিপর্যয়ের’ সম্মুখিন এবং আন্তর্জাতিক সমাজ যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি আরো দাবি করেন, ইসরাইলের সঙ্গে যেকোনো চুক্তির শর্ত হবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
মুসলমানদের দু’টি প্রধান ধর্মীয় স্থান মক্কা ও মদীনা সৌদি আরবে অবস্থিত হওয়ায় দেশটিকে অনেকে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতা মনে করে। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ভূমি জবরদখল করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে এখন পর্যন্ত রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে তেল আবিবকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সৌদি আরব ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে দিলে তা অবৈধ দখলদার এই শক্তির জন্য বিশাল অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে।
গত সেপ্টেম্বরে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান একটি মার্কিন টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রিয়াদ প্রতিদিন একটু একটু করে ইসরাইলের সঙ্গে একটি চুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেননি যে, তেল আবিবের সঙ্গে যেকোনো চুক্তির শর্ত হবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। #
পার্সটুডে/এমএমআই/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।