ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪ ১১:৫৭ Asia/Dhaka

ইরাকি সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফের মুখপাত্র জেনারেল ইয়াহিয়া রসুল ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য বাগদাদ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বৈঠকের খবর দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ইরাকের সুপ্রিম মিলিটারি কমিটি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাগদাদে মার্কিন নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর সাথে ইরাকের বর্তমান সামরিক পরিস্থিতি এবং অভিযান পরিচালনায় তাদের সক্ষমতার বিষয়ে  আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেছেন, এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কিন সেনা সংখ্যা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার জন্য একটি সময়সূচী নির্ধারণ করা হবে যাতে শেষ পর্যন্ত এই বাহিনীর মিশনের সমাপ্তি ঘটে। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো ঘটনা এই বৈঠকগুলোকে বাধাগ্রস্ত না করে, ততক্ষণ আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নে কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এর আগে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া সুদানী এক বিবৃতিতে গত জানুয়ারিতে ইরাক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম দফা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর কথা জানিয়ে তিনি ইরাকে বিদেশি সামরিক জোটের কার্যক্রম অবসান ঘটানোর বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইরাক সরকার ও সংসদের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি এদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নেতা-কর্মীরা এ দেশ থেকে মার্কিনসহ অন্য বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহারের উপর জোর দিয়েছেন। ইরাকি সরকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে শুরু হওয়া নতুন দফার আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহারের সময়সূচী নির্ধারণ করা যাতে সেদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা দ্রুত পূরণ হয়। ইরাকি কর্তৃপক্ষ সবসময় জোর দিয়ে বলে আসছে যে, ইরাকে মার্কিন সৈন্যদের অব্যাহত উপস্থিতি শুধুমাত্র এই দেশে অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি করছে। তারা বলছেন, ইরাকের সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা এবং এই সংগঠনের কমান্ডারদের হত্যার কারণে মার্কিন সেনাদের প্রতি জনগণের ক্ষোভ ও ঘৃণা বৃদ্ধি পাচ্ছে।  ২০০৩ সাল থেকে ইরাকে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির ফলে এ পর্যন্ত হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

পশ্চিম এশীয় অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, স্বাধীন সরকারগুলো আর কোনো বিদেশী সৈন্যের উপস্থিতি মেনে নিতে ইচ্ছুক নয় এবং তারা বিশ্বাস করে যে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ শক্তির উপর নির্ভর করেই নিরাপত্তা ও  স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে, মার্কিন কর্মকর্তারা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অশুভ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। আর এ কারণে এই অঞ্চলে মার্কিন বিরোধী মনোভাব দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।  এ অবস্থায় ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে শুরু হওয়া আলোচনা ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে সকলে প্রত্যাশা। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ