ইসরাইলিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ; আগাম নির্বাচনের দাবি
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i148422-ইসরাইলিদের_মধ্যে_ব্যাপক_ক্ষোভ_ও_অসন্তোষ_আগাম_নির্বাচনের_দাবি
পার্সটুডে - ইসরাইলে জরিপের ফলাফল দেখা গেছে যে অধিকৃত অঞ্চলের বেশিরভাগ বাসিন্দা নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার কর্মক্ষমতা নিয়ে অসন্তুষ্টির কারণে আগাম নির্বাচন চান।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
এপ্রিল ০৫, ২০২৫ ১৯:৪১ Asia/Dhaka
  • • ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
    • ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

পার্সটুডে - ইসরাইলে জরিপের ফলাফল দেখা গেছে যে অধিকৃত অঞ্চলের বেশিরভাগ বাসিন্দা নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার কর্মক্ষমতা নিয়ে অসন্তুষ্টির কারণে আগাম নির্বাচন চান।

পার্সটুডে জানিয়েছে; ইসরাইলের টিভি চ্যানেল-১৩ দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে যে অধিকৃত অঞ্চলের ৫৯.২ শতাংশ বাসিন্দা মনে করেন যে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগত কারণে (ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) শিনবেতের প্রধান এবং মন্ত্রিসভার আইনি উপদেষ্টা রোনেন বারকে বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন।

এছাড়াও, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৫.৭% যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন।

ইসরাইলের অধিবাসীরা আগাম নির্বাচনের দাবি জানানোর অন্যতম প্রধান কারণ হলো নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়া।

বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে তেল আবিবে ইসরাইলি বন্দীদের পরিবারের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

এই প্রতিবেদন অনুসারে, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলির সাথে বন্দী বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন করার দাবিতে তেল আবিবে ইহুদি বন্দীদের পরিবারগুলো বিক্ষোভ করেছে।

বলা হচ্ছে যে, পুলিশ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের বিক্ষোভকে বৈধ বলে মনে করেনি এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য বলপ্রয়োগ করেছে।

গাজায় হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দীদের পরিবারের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে ইসরাইলি গণমাধ্যম আর কোনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।

সোমবার রাতে, ইসরাইলি গণমাধ্যম সংসদ নেসেটের কাছে ইসরাইলি পুলিশ বাহিনী এবং ইহুদিবাদী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর দিয়েছে।

রবিবার রাতে, হাজার হাজার মানুষ তেল আবিবে রাস্তায় নেমে বন্দী বিনিময় বিষয়ে নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে। তারা বন্দী বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে এবং শিনবেত প্রধান ও মন্ত্রিসভার আইন উপদেষ্টাকে অপসারণের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তারিখে আল-আকসার তুফান অভিযান  শুরু হওয়ার পর থেকে, ইসরাইলি বন্দীদের পরিবার, সেইসাথে ইসরাইল সরকারের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা মহল ফিলিস্তিনিদের হামলার বিষয়ে উদাসিনতার জন্য নেতানিয়াহু এবং তার ক্ষমতাসীন জোটকে দায়ী করে আসছে এবং যুদ্ধ পরিচালনায় নেতানিয়াহুর কর্মক্ষমতার সমালোচনা করেছে।

আল-আকসার তুফান অভিযানের শুরু থেকেই, ইসরাইলি বন্দীদের পরিবার এবং বসতি স্থাপনকারীরা বারবার মন্ত্রিসভার নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। ফলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে এবং তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে ইসরাইলি সরকারের মন্ত্রিসভা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে বন্দী তাদের আত্মীয়দের ভাগ্যের প্রতি উদাসীন এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।