ইহুদিবাদীদের হাজার হাজার বসতি স্থাপনের ভয়াবহ প্রকল্পের বিবরণ
(last modified Mon, 07 Apr 2025 11:42:53 GMT )
এপ্রিল ০৭, ২০২৫ ১৭:৪২ Asia/Dhaka
  • পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সম্প্রসারণবাদ
    পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সম্প্রসারণবাদ

পার্সটুডে- গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের ছায়ায়, ইহুদিবাদী ইসরাইল পশ্চিম তীরে তার বিপজ্জনক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি একজন রাজনীতি বিশ্লেষক তৌফিক তামেহ রোববার সতর্ক করে বলেছেন: ইসরাইল পশ্চিম তীরকে আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে দখলকৃত অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই তারা পশ্চিম তীরের গাজা উপত্যকায় গণহত্যার পাশাপাশি জাতিগত নির্মূল অভিযানও চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন: পশ্চিম তীরে আক্রমণের ঘটনা নতুন নয়, কয়েক দশক ধরেই চলছে। কিন্তু গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে বর্তমান হামলার তীব্রতার ঘটনায় দখলদারদের সেই উদ্দেশ্য আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইহুদিবাদী সরকারের চরমপন্থী নেতারা আরব কিংবা আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার তোয়াক্কা না করেই তাদের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনি এই বিশ্লেষক আরও বলেন: সমগ্র পশ্চিম তীর আক্রমণের মুখে এবং গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোলাজলে ট্রাম্পের সমর্থনে ইসরাইলের জন্য পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যেহেতু ট্রাম্প পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যেভাবে ট্রাম্প তার রাষ্ট্রপতিত্বের প্রথম পর্যায়ে ক্ষমতা গ্রহণের সময় দখলকৃত সিরিয়ার গোলান মালভূমিকে অধিকৃত অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করার স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

তিনি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি শিবিরগুলো ধ্বংস করা এবং তাদের লক্ষ লক্ষ বাসিন্দাকে বহিষ্কার করার মার্কিন-ইহুদিবাদী পরিকল্পনার কথাও জানান। তার প্রমাণ হিসাবে তিনি জেনিন, নূর শামস, তুলকারামসহ অন্যান্য শিবিরের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন।

তামেহ বলেন: পশ্চিম তীরে ১৩টি নতুন ইহুদি বসতি নির্মাণ এবং হাজার হাজার বসতি ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণার লক্ষ্য হলো পশ্চিম তীরকে গ্রাস করা এবং ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা। পশ্চিম তীরে যা অপেক্ষা করছে তা খুবই বিপজ্জনক। কারণ দখলদাররা প্রতিটি প্রদেশ বা শহর তাদের অনুগতদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি অঞ্চলের প্রশাসন অন্য অঞ্চল থেকে আলাদা হবে। এইভাবে দখলদারদের সেনাবাহিনী তাদের এজেন্টদের দিয়ে ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণ করবে। ওই প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিরোধ ধ্বংস করাও অগ্রাধিকারের শীর্ষে রয়েছে।

এই বিশ্লেষক দখলদারদের ওই পরিকল্পনা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ঐক্য এবং প্রতিরোধের প্রতি মনোযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সেইসাথে তিনি আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুসারে প্রতিরোধকে একটি বৈধ অধিকার বলেও মনে করেন।#

পার্সটুডে/এনএম/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।