গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ার একই সময়ে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে আরো অন্তত ৩,৩০০ ইহুদি বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। প্রায় ২ হাজার ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী আজ বিক্ষোভ করেছে বলে আল-জাজিরা খবর দিয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস দুর্বল হয় নি। গাজার ক্ষমতা এখনও তাদেরই হাতে।
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য উগ্র ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল (মঙ্গলবার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা আবারও গাজা উপত্যকার আশেপাশের ইহুদিবাদী এলাকায় প্রবেশ করেছে। ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর কঠোর প্রহরা সত্ত্বেও প্রতিরোধ যোদ্ধারা ওইসব নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশে করতে সক্ষম হয়েছে।
নিজেকে মজলুম হিসেবে জাহির করার ক্ষেত্রে বিশ্বে ইহুদিবাদীদের জুড়ি নেই। আর গণমাধ্যম জগতে ইহুদিবাদীদের দীর্ঘ দিনের একাধিপত্যের কারণে এই কাজটি তারা খুব সহজেই করতে পারছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিশু-ঘাতক ও জালিম এখন হামাসের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে নিজেদেরকে মজলুম হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে গাজার নিষ্পাপ শিশু ও নারীদের নির্বিচারে হত্যাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
দখলদার ইসরাইলের ইহুদি বসতি লক্ষ্য করে পশ্চিম তীরের জেনিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখার সঙ্গে যুক্ত 'আল-আইয়াশ' ব্রিগেড এই হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে সেখানে অবৈধ বসতি স্থাপন নির্মাণ কাজে আবারো অনুমোদন করেছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী। তেল আবিব সরকার অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরো ৫,৬২৩টি নতুন বসতি স্থাপন করবে বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের রকেট হামলার ভয়ে গাজা উপত্যকার আশপাশে বসবাসকারী ১২ হাজার ইসরাইলি অবৈধ ইহুদি বসতি ছেড়ে পালিয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৮ ইসরাইলি হতাহত হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের বর্বর হামলার জবাবে ফিলিস্তিনী সংগ্রামী যোদ্ধারা পাল্টা ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায়। তাদের হামলায় অন্তত ১ জন ইহুদিবাদী নিহত এবং আরও ৭জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছে ইহুদিবাদী মিডিয়াগুলো ।