মার্কিন সমর্থন নিয়ে গাজা দখলের পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i151078
পার্সটুডে-গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের উদ্যোগ নতুন অপরাধমূলক পরিকল্পনার অংশ যা ইসরায়েলিরা আমেরিকার সহায়তায় বাস্তবায়ন করছে এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া এর মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
(last modified 2025-08-10T13:00:59+00:00 )
আগস্ট ১০, ২০২৫ ১৮:১৬ Asia/Dhaka
  • মার্কিন সমর্থন নিয়ে গাজা দখলের পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল
    মার্কিন সমর্থন নিয়ে গাজা দখলের পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল

পার্সটুডে-গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের উদ্যোগ নতুন অপরাধমূলক পরিকল্পনার অংশ যা ইসরায়েলিরা আমেরিকার সহায়তায় বাস্তবায়ন করছে এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া এর মারাত্মক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।

গাজা দখলের জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা যে পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে, যা গাজা শহর দখল এবং এর বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার মাধ্যমে শুরু হবে। মেহর নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এবং পর্যবেক্ষকরা গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলের অসংখ্য বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করছেন। তাদের প্রতিবেদনে, ব্রিটিশ এবং আমেরিকান মিডিয়া গাজা দখল পরিকল্পনার বিবরণ এবং এর মানবিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক মাত্রা, পাশাপাশি এই পরিকল্পনার বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র আইপেপার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করেছে যে এই পরিকল্পনায় "গাজা যুদ্ধের অবসান, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে মানবিক সহায়তা প্রদান এবং একটি বেসামরিক সরকারের কাছে গাজা উপত্যকা হস্তান্তরের নীতি" অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

গাজার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি

ইংরেজি সংবাদপত্র "আইপেপার" অনুসারে, তেল আবিবের পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা শহর দখল এবং দক্ষিণে, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল আল-মাওয়াসির বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বহিষ্কারের মাধ্যমে শুরু হবে। ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ টিভির এক প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি অস্থায়ী বেসামরিক অবকাঠামোর মাধ্যমে এই পরিকল্পনার জন্য লজিস্টিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করবে এবং পর্যবেক্ষকরা অনুমান করছেন যে গাজা শহর এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে প্রায় ৫ মাস সময় লাগবে। প্রতিবেদন অনুসারে, নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে এই পরিকল্পনা হামাসকে নির্মূল করা এবং ইহুদিবাদীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। বিশেষজ্ঞ এবং পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত করেছেন যে এই পদক্ষেপ বাস্তুচ্যুতির একটি নতুন ওয়েভের দিকে নিয়ে যেতে পারে, গাজার দুর্ভিক্ষ সংকটকে তীব্রতর করতে পারে এবং গাজায় ইসরাইলি বন্দীদের জীবনকে বিপন্ন করতে পারে। ওয়াশিংটন পোস্ট আরও জানিয়েছে, গাজা শহরের বাসিন্দাদের বিকল্প এলাকায় স্থানান্তর করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে।

গাজা দখলের জন্য ইসরায়েলিদের যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে

ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সরঞ্জাম এবং জনবল সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হয়ে গেছে এবং গাজার বাকি ২৫ শতাংশ দখল করার জন্য তাদের রিজার্ভ সৈন্য সংগ্রহ করতে হবে। গাজা উপত্যকায় বর্তমানে প্রায় ৪টি সামরিক ডিভিশন রয়েছে; যেখানে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে দখল করার জন্য কমপক্ষে ছয়টি ডিভিশন প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে গাজা সম্পূর্ণ দখল করলে ইসরায়েলি বন্দীদের জীবনও বিপন্ন হবে; কারণ সেনাবাহিনীর নিজস্ব সেনাদের হাতেই অপর সেনাদের হত্যা করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গাজা দখলের এই পরিকল্পনা সেনাবাহিনীর ভেতরেও বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির জোর দিয়ে বলেছেন যে তার বাহিনী ক্লান্ত এবং পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং জনবল নেই; বিশেষ করে যেহেতু গাজা দখলের পরিকল্পনার জন্য রিজার্ভ সৈন্য সংগ্রহের ব্যাপক প্রয়োজন। এ ছাড়া ইসরাইলের জনগণের বিরোধিতাও তাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে।#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।