হামাসের সামরিক শক্তি এখনও অটুট: ইহুদিবাদী মিডিয়া
-
হামাসের সামরিক শক্তি এখনও অটুট: ইহুদিবাদী মিডিয়া
পার্সটুডে-ইহুদিবাদী একটি মিডিয়া আউটলেটের নয়া বিশ্লেষণে অনুমান করা হয়েছে যে গাজা যুদ্ধ হামাসের সামরিক শক্তিকে খর্ব করতে পারেনি।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার দুই বছর পরেও, ইহুদিবাদী ইসরাইলের নিরাপত্তা বিভাগের মূল্যায়ন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, হামাস আন্দোলনের এখনও উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি রয়েছে। পার্সটুডে আরও জানায়, ইসরাইলের চ্যানেল ১৪ হামাসের সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ২০,০০০ বলে অনুমান করেছে।
এই ইহুদিবাদী মিডিয়া আউটলেটের মূল্যায়ন অনুযায়ী হামাসের কাছে এখনও শত শত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে কিছু মাঝারি পাল্লার এবং ইসরাইলের কেন্দ্রে পৌঁছাতে সক্ষম। হামাস আন্দোলনের বাহিনীর কাছে হাজার হাজার আরপিজি মানে হ্যান্ড-হোল্ড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গ্রেনেড লঞ্চার এবং ১০,০০০ এরও বেশি দূরপাল্লার অস্ত্র রয়েছে।
এই মূল্যায়ন অনুযায়ী, হামাসের সামরিক কাঠামো ৬টি ব্রিগেড এবং ২৪টি ব্যাটালিয়ন নিয়ে গঠিত, যাদের মধ্যে কিছু এখনও সক্রিয় রয়েছে। এই অনুমান থেকে আরও বোঝা যায় যে গাজা যুদ্ধের আগে বিদ্যমান অর্ধেকেরও বেশি সামরিক সুড়ঙ্গ এখনও সক্রিয় রয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে, ইসরাইলি নিরাপত্তা পরিষেবার প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং পশ্চিম এশিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠী ও অপ্রচলিত যুদ্ধক্ষেত্র নিয়ে গবেষণাকারী ও বিশ্লেষক অর লাভি হিব্রু সংবাদপত্র মা'আরিভকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন: হিজবুল্লাহ এবং ইরানের তুলনায় হামাস দুর্বল-এই ধারণার ফলে ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর থেকে মনোযোগ কমিয়ে ফেলেছে। দুই বছরের যুদ্ধে হামাস তার বাহিনীর কিছু সদস্যকে হারিয়েও টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছে এবং ভবিষ্যতে নিজেদেরকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম তারা। এই আন্দোলনটি সরাসরি আর আক্রমণ শুরু নাও করতে পারে তবে ভবিষ্যতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে-কোনো আঞ্চলিক সংঘর্ষে জড়াবে।
ইহুদিবাদী এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন: ইসরাইল এখনও হামাসের মানসিকতা উপলব্ধি করতে অক্ষম।৭ই অক্টোবরের ঘটনাগুলো তাদের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার ওপর যে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে সেই নিরাপত্তা ব্যর্থতার মাত্রাও ফুটিয়ে তুলেছে।
ইহুদিবাদী গণমাধ্যম এবং বিশেষজ্ঞরা এমন সময় হামাসের সামরিক শক্তির স্বীকৃতি দিলেন যখন গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরাইল হামাসের সামরিক শক্তি ধ্বংস করতে চায় এবং এই লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।#
পার্সটুডে/এনএম/২১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।