গাজার ৭৫ শতাংশেরও বেশি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নেই: জাতিসংঘ
-
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক
পার্সটুডে-জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৭৫ শতাংশেরও বেশি বাসিন্দা এখনও তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অপুষ্টির সাথে লড়াই করছেন। তিনি সর্বশেষ খাদ্য নিরাপত্তা শ্রেণীবিভাগ (আইপিসি) প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি তুলে ধরে একথা বলেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, যদিও গাজা উপত্যকায় খাদ্য পাঠানোর কিছুটা উন্নতি হয়েছে এবং দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এইসব পদক্ষেপ খুবই ঠুনকো।
পার্সটুডে জানিয়েছে, ডুজারিক সতর্ক করে বলেন, ২০২৬ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি প্রায় ১.৬ মিলিয়ন মানুষ (গাজার জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশেরও বেশি) তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অপুষ্টির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়াও, আইপিসি রিপোর্ট অনুসারে, প্রায় ১,৯০০ মানুষ বিপর্যয়কর পরিস্থিতির শিকার হবে (পঞ্চম পর্যায়) এবং ৫৭০,০০০ এরও বেশি মানুষ চরম (পঞ্চম পর্যায়) ক্ষুধার মুখোমুখি হবে।
ডুজারিক জোর দিয়ে বলেন, শীতকালীন ঝড়, রোগ, দুর্বল স্যানিটেশন এবং হাসপাতাল ও পানির ব্যবস্থাসহ ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর মতো জরুরি বিষয়গুলো সংকটকে আরও গভীর করেছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র, ঝুঁকিপূর্ণ গাজাবাসীর ওপর খাদ্য সংকটের প্রভাব উল্লেখ করে এক পরিসংখ্যানে বলেছেন, ২০২৬ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি নাগাদ পাঁচ বছরের কমবয়সী ১,০০,০০০ 'এরও বেশি শিশু এবং ৩৭,০০০ গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলাদের তীব্র অপুষ্টির জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হবে। প্রতিবেদনগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, গাজার কোনও শিশুর ন্যূনতম খাবারের ব্যবস্থা নেই এবং দুই-তৃতীয়াংশ শিশু মারাত্মকভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।#
পার্সটুডে/জিএআর/২০