হিজরি বর্ষপঞ্জি বাদ দিয়ে খ্রীস্টিয় ক্যালেন্ডার চালু করল সৌদি আরব
-
নতুন ক্যালেন্ডারে আগের তুলনায় বছরে ১১ দিনের বেতন কম পাবেন সৌদি আরবে কর্মরতরা
রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য হিজরি সাল বা ইসলামি চন্দ্রনির্ভর বর্ষপঞ্জি বাদ দিয়ে খ্রীস্টিয় ক্যালেন্ডার চালু করেছে সৌদি সরকার। সরকারি ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রিয়াদ।
গতকাল (রোববার) থেকে সৌদি আরবে গ্রেগরিয়ান সিস্টেমের ক্যালেন্ডার চালু হয়েছে। এর ফলে সরকারি চাকুরিজীবীদেরকে আগের বেতনেই বছরে ১১ দিন বেশি কাজ করতে হবে।
১৯৩২ সালে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিতে চান্দ্র বর্ষপঞ্জি চালু ছিল। এ বর্ষপঞ্জিতে চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে ২৯ অথবা ৩০ দিনের মোট ১২ মাসে এক বছর হতো। চন্দ্রনির্ভর এ বছর সম্পূর্ণ হতো ৩৫৪ দিনে অর্থাৎ গ্রেগরিয়ান বা খ্রীস্টিয় ক্যালেন্ডারের চেয়ে বছর ছিল ১১ দিন কম।
এখন থেকে সরকারি কর্মজীবীদের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং জ্বালানী সেক্টরের কর্মীদের বেতন দেয়া হবে ৩৬৫ দিনে বছর ধরে। নতুন ক্যালেন্ডর চালুর ফলে সৌদি আরবে কর্মরত লাখ লাখ বিদেশি কর্মীও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সৌদি সরকার সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ব্যয়হ্রাসের জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর আওতায় সরকারি চাকুরিজীবীদের কিছু বোনাস বাতিল করা হয়েছে এবং বিদেশি নাগরিকদের ‘আকামা’ বা রেসিডেন্স পারমিট ও ভিসার ফি বাড়ানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারি খাতে অপব্যয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব। এ ছাড়া, দরিদ্র প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেনে আগ্রাসন চালাতে গিয়েও দেশটি খরচ করছে কোটি কোটি ডলারের সমরাস্ত্র। এর ফলে চলতি বছর সৌদি আরব ১০,০০০ কোটি ডলার সমপরিমাণ বাজেট ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।#
পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/৩