শত্রুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে ইরাকের জনগণ ও ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i35150-শত্রুদের_ষড়যন্ত্র_ব্যর্থ_করে_দিতে_ইরাকের_জনগণ_ও_ধর্মীয়_নেতাদের_ভূমিকা
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হায়দার আল এবাদি বলেছেন, ইরাককে খণ্ডবিখণ্ড করার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে এবং দেশটির জনগণ অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে আরো ঐক্যবদ্ধ।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মার্চ ২৭, ২০১৭ ১৭:৫৯ Asia/Dhaka

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হায়দার আল এবাদি বলেছেন, ইরাককে খণ্ডবিখণ্ড করার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে এবং দেশটির জনগণ অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে আরো ঐক্যবদ্ধ।

তিনি ইরাকের স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে সাক্ষাতে আরো বলেছেন, শীর্ষ শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ আলী সিস্তানীর সময়োপযোগী ফতোয়া ও নির্দেশনার কারণে শত্রুদের সব হিসাব নিকাশ ভণ্ডুল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ইরাকের সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হাশদ আল-শাআবি বাহিনীর সহযোগিতার কারণেই দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিজয় সম্ভব হয়েছে।

২০১৪ সালের জুন থেকে ইরাকের সরকার ও জনগণকে দায়েশ সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ইরাকে প্রবেশ করেই দায়েশ দেশটির উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিয়েছিল। ফেতনা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ইরাকে প্রবেশ করেই রাজধানী বাগদাদ ও আরবিল দখল করে নেয়া ছিল দায়েশের প্রধান টার্গেট। কিন্তু ইরাকের সরকার, জনগণ ও ধর্মীয় নেতাদের সতর্কতার কারণে দায়েশের মোকাবেলায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের বাগদাদ দখলের চেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে গেছে।

ইরাকের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সিস্তানী সন্ত্রাসীদের ভয়াবহ ষড়যন্ত্র ও বিপদের বিষয়টি উপলব্ধি করেই সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইরাকের শিয়া, সুন্নি, তুর্কমেন ও উপজাতী জনগোষ্ঠী আয়াতুল্লাহ সিস্তানীর ওই আহ্বানকে স্বাগত জানায় এবং দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার ঘোষণা দেয়।

২০১৪ সালের ১০ জুন সন্ত্রাসীরা মসুল দখল করে নেয়ার পর শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সিস্তানীর পরামর্শে স্বেচ্ছাসেবী হাশদ আল শাআবি প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলা হয়। এই বাহিনী সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয়ায় শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাকের শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে পরবর্তীতে তারা দায়েশের কবল থেকে বহু শহর মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী ফালুজাসহ সুন্নি অধ্যুষিত বহু এলাকা পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা করায় এটা প্রমাণিত হয়েছে তারা মাজহাবের ঊর্ধ্বে উঠে শত্রুর মোকাবেলা করছে। ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা স্বেচ্ছাসেবী হাশদ আল শাআবির প্রধান লক্ষ্য।

ইরাক একটি স্বাধীন দেশ এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ সেখানে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছে। তারা জাতিগত স্বার্থের চাইতে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়। হাশদ আল শাআব স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী গঠনের পর দায়েশ সন্ত্রাসীরা এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। গত আড়াই বছরের যুদ্ধে টিকতে না পেরে সন্ত্রাসীরা ইরাকের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পিছু হটে যাওয়ায় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর শক্তিমত্বাই ফুটে উঠেছে। # 

পার্সটুডে/মো. রেজওয়ান হোসেন/২৭