যে-কোনো মূল্যে ইদলিবকে সন্ত্রাসীমুক্ত করা হবে: বাসিনা শাবান
(last modified Fri, 22 Feb 2019 13:34:11 GMT )
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯ ১৯:৩৪ Asia/Dhaka

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের মিডিয়া ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা বাসিনা শাবান বলেছেন, ইদলিবকে অবশ্যই সন্ত্রাসী-মুক্ত করতে হবে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান সিরিয়ার উত্তরে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।

শাবান জোর দিয়ে বলেন, সিরিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে নয়া সন্ত্রাসী আস্তানা গড়তে দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসীদের টুটি চেপে ধরা হবে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ইদলিব সিরিয়ার অংশ-এই দাবির পুনরাবৃত্তি করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের এই উপদেষ্টা বলেন, দামেশক ইদলিবকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইদলিবকে সন্ত্রাসীদের সর্বশেষ ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। সিরিয়ার সেনাবাহিনী যতবারই এই অঞ্চলকে সন্ত্রাসীমুক্ত করতে চেয়েছে, ততবারই আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমারা ষড়যন্ত্রের অংশস্বরূপ বিভিন্ন আপত্তি জানিয়ে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষায় সেনা অভিযান বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছে।

সিরিয়া সংকট নিয়ে তুরস্ক হঠাৎ স্ববিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তারা একদিকে ইদলিবে সেফ জোন বা নিরাপত্তা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, অপরদিকে এ অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাস করার অজুহাতে তারা সেনাবাহিনী পাঠিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত দায়েশ এবং আন-নুসরার সঙ্গে যোগাযোগ করেই তারা সেনা পাঠিয়েছে। এই তৎপরতা কাজাখিস্তানের রাজধানী আস্তানায় সংঘটিত নিরাপত্তা অঞ্চল প্রতিষ্ঠা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তুরস্কের এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেওয়ার শামিল। এটা সোচি চুক্তিরও লঙ্ঘন বলে তিনি উল্লেখ করেন। সোচি চুক্তিতে সন্ত্রাসীদের দমনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল।

সোচিতে গত সেপ্টেম্বর মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, বেসামরিক লোকজনের জীবন রক্ষার্থে ইদলিবে কোনোরকম সামরিক অভিযান চালানো হবে না। এই প্রদেশেই একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা হবে যাতে সাধারণ জনগণ ক্ষয়ক্ষতির শিকার না হয় এবং সিরিয়ার সর্বশেষ এই অঞ্চলটিকে সন্ত্রাসীমুক্ত করা যায়।

এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাতে পুতিন বলেছেন, ইদলিবের ভেতরেই বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তার জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।গত ১৫ অক্টোবরে এ ব্যাপারে চুক্তিও হয়েছিল।

কিন্তু  সন্ত্রাসী এবং তাদের দোসররা তা লঙ্ঘন করেছে। এ অঞ্চলকে বেসামরিক লোকজনের জন্য নিরাপদ করা তো দূরের কথা উল্টো বরং পশ্চিমা সরকারগুলো সন্ত্রাসীদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করার মাধ্যমে এ অঞ্চলকে অস্ত্রের গুদামে পরিণত করেছে। সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিশ্বের অন্তত ৬০টি দেশের সন্ত্রাসীকে ইদলিব এবং জারাবলুসে স্থানান্তর করা হয়েছে।

তবে সিরিয়ার সরকার সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। যে-কোনো মূল্যে তাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে এবং ইদলিবকে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্ত করতে সিরিয়ার সরকার ও সেনাবাহিনী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।#

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/২২