সিসি'র বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর এখন কী ঘটছে মিশরে?
মিশরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আস-সিসির বিরুদ্ধে হঠাৎ বিক্ষোভের পর গত কয়েক দিনে এক হাজার একশ' জনের বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন ‘আরব নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস ইনফরমেশন্স’ এর প্রধান গামাল ঈদ বলেছেন, তার নিজের সংস্থার পাশাপাশি আরও দুটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে গ্রেপ্তারের বিষয়ে নজর রেখেছে এবং এ বিষয়ে তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মিশরের কয়েক জন বিখ্যাত ব্যক্তিও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মোস্তফা কামাল আল সাঈদ বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক চিফ অব স্টাফ সামি আনানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হাজেম হোসনিকে মঙ্গলবার বিকেলে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া প্রখ্যাত লেখক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসান নাফা নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনিও আটক হয়েছেন।
গত শুক্রবার রাতে মিশরের রাজধানী কায়রোসহ বিভিন্ন শহরে সিসি’র পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। এরপর আতঙ্ক দেখা দেয় শাসক শিবিরে। ওই ঘটনার পর থেকে সারাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেছে এবং সর্বত্র তল্লাশি চলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছে এবং রাস্তায় চলাচলকারী কাউকে সন্দেহ হলেই থামিয়ে দেহ তল্লাশি করছে। সিসি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বিক্ষোভে নামে মিশরীয়রা।
মিশরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান আব্দুল ফাত্তাহ আস সিসি।#
পার্সটুডে/এসএ/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।