করোনা দুর্যোগেও পম্পেও’র ইসরাইল সফর: সিদ্ধান্ত হবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে
(last modified Wed, 13 May 2020 09:37:35 GMT )
মে ১৩, ২০২০ ১৫:৩৭ Asia/Dhaka
  • পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
    পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নজিরবিহীন অবস্থানে পৌঁছেছে। ইসরাইলের অবৈধ ও বেআইনি দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চেষ্টার কোনো ত্রুটি করেননি। বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিভিন্ন দেশে মার্কিন কর্মকর্তাদের সফর সীমিত করা হলেও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও একদিনের জন্য ইসরাইল সফরে গেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস  মোকাবেলা করা, পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের তৎপরতার অবস্থা খতিয়ে দেয়া এবং জর্দান নদীর পশ্চিম তীরকে ইসরাইলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তেলআবিবের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আলোচনা করাই পম্পেও এ সফরের উদ্দেশ্য। ধারণা করা হচ্ছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও ওই তিনটি বিষয়ে ইসরাইলের সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করবেন।  

করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে কংগ্রেস ও গণমাধ্যমের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন। সামনেই  প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ অবস্থায় নির্বাচনে জেতার জন্য ট্রাম্পের ইহুদিবাদি লবিং গ্রুপ আইপ্যাকের সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে তিনি বেশ কিছু বিষয়ে ইসরাইলের সঙ্গে পুরোপুরি একমত হয়ে পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। তেলআবিব সফরের আগে মাইক পম্পেও এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তার ভাষায় ইরানের হুমকি মোকাবেলা করা এবং দেশটির পরমাণু অস্ত্র অর্জনের প্রচেষ্টা ঠেকানোর উপায় বের করাই তার ইসরাইল সফরের উদ্দেশ্য। 

ইসরাইল সবসময়ই ইরানের সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করে আসছে। অজুহাত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। এ কারণে দেশটির ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির জন্য কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং পরমাণু সমঝোতাও পুরোপুরি বাতিল করে দেয়া উচিত বলে তিনি দাবি করেন। ইসরাইলের কথামত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছেন। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি বন্ধ  করা ও  পশ্চিম এশিয়ার ব্যাপারে নাক গলানো থেকে বিরত থাকাসহ ১২টি প্রস্তাব মেনে নিতে তিনি ইরানের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও বলেছেন, তারা ইরানকে একটি স্বাভাবিক দেশে পরিণত করতে চান এবং ওই  দেশটি যাতে কোনোভাবেই পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে না পারে সেজন্য চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। 

ইসরাইল পশ্চিম তীরকে তাদের  ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করার যে চেষ্টা চালাচ্ছে তার আলোকে পম্পেওর এ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলতি  গ্রীষ্মে ইসরাইল ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে পম্পেওর সঙ্গে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের যে আলোচনাই হোক না কেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসরাইল। যাইহোক, পম্পেওর ইসরাইল সফরের ফলাফল কি দাঁড়ায় সেটাই এখন  দেখার বিষয়। #  

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৩

 

ট্যাগ