লিবিয়ায় সেনা পাঠাতে মিশর সংসদের অনুমোদন; তুরস্কের সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা
লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের অনুমতি পেয়েছে মিশর সরকার। সেদেশের সংসদ গতকাল (সোমবার) দেশের বাইরে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর ফলে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আস-সিসি প্রয়োজনে লিবিয়ায় সেনা পাঠাতে পারবেন।
সিসি তুরস্ক সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবেশি লিবিয়ায় সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর এই অনুমোদন দেয় সংসদ। মিশরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বসম্মতভাবে এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর আওতায় একটি ‘পশ্চিমাঞ্চলীয় ফ্রন্ট’ গঠন করতে পারবে কায়রো।
পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশি লিবিয়ার প্রতি লক্ষ্য রেখে এই ফ্রন্ট গঠনের অনুমোদন দিয়েছে মিশরের সংসদ। এর আগেই তুরস্ক লিবিয়ায় সেনা মোতায়েন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। লিবিয়া ইস্যুতে তুরস্ক ও মিশর পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে। মিশরের সংসদের এই অনুমোদনের ফলে লিবিয়ার মাটিতে এই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে গেল।
২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে উত্তর আফ্রিকার তেল সমৃদ্ধ দেশ লিবিয়া। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দু’টি সরকার। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে জাতিসংঘ ও তুরস্কসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিশর,সংযুক্ত আরব আমিরাত,জর্ডান,সৌদি আরব,ও ফ্রান্স।
এদিকে, লিবিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘ মিশনের প্রধান স্টিফেন উইলিয়ামস সেদেশে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন।#
পার্সটুডে/সোহেল আহম্মেদ/২১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।