কৃষ্ণ সাগরে প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি পেয়েছে তুরস্ক; আমদানি-নির্ভরতা কমবে
(last modified Fri, 21 Aug 2020 16:37:14 GMT )
আগস্ট ২১, ২০২০ ২২:৩৭ Asia/Dhaka
  • তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান
    তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান

কৃষ্ণসাগরের উপকূলে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনির সন্ধান পেয়েছেন তুরস্ক। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান আজ (শুক্রবার) এ ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রাকৃতিক গ্যাসের খনির সন্ধান পাওয়ার পর তুরস্কের জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে বিদেশ-নির্ভরতা অনেকটাই কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

গত সপ্তাহে এরদোগান ভালো খবর জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এমন ভালো খবর আসছে যার ফলে তুরস্কের জন্য নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, কৃষ্ণসাগর উপকূলবর্তী এলাকায় যে গ্যাসের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে তাতে ৩২০ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাসের মজুদ রয়েছে। তুরস্কের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ ফাতিহ'র মাধ্যমে এ খনির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান।

ইস্তাম্বুল বন্দরে নোঙর করা তুরস্কের একটি তেল-গ্যাস অনুসন্ধাকারী জাহাজ

এরদোগান বলেন, “ভূমধ্যসাগর এবং কৃষ্ণসাগরের গভীরে আমরা নয়টি এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালিয়েছি এবং এ কাজে ফাতিহ ও ইয়াভুজ জাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে। জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত তুরস্কের এই অনুসন্ধানকাজ থামাবো না।”

এরদোগান আশা প্রকাশ করেন ২০২৩ সালের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের খনির গ্যাস জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারবে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট যে পরিমাণ গ্যাস পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তা যদি উত্তোলনযোগ্য হয়ে ওঠে তাহলে তুরস্ক যে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করে থাকে তা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে আঙ্কারা। গত বছর তুরস্ক চার হাজার একশ কোটি ডলারের জ্বালানি আমদানি করেছে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/২১