মহাকাশে স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা
রুশ পদক্ষেপকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, ধ্বংসাত্মক বললো আমেরিকা
-
মহাকাশে সৃষ্ট আবর্জনা
মহাকাশে স্যাটেলাইট বিধ্বংসী যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া তাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ বলে নিন্দা করেছে আমেরিকা। এই পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রাশিয়ার নিজস্ব একটি স্যাটেলাইট চুরমার হয়ে বিক্ষিপ্ত চূর্ণবিচূর্ণ মহাকাশের কক্ষপথে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে যে ধ্বংসাবশেষ সৃষ্টি হয়েছে মহাকাশে তার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের ক্রুরা ক্যাপসুলের ভিতর আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস গতকাল (সোমবার) এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, রাশিয়ান ফেডারেশন বেপরোয়াভাবে তাদের নিজস্ব একটি স্যাটেলাইট ধ্বংসে মাধ্যমে স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এই পরীক্ষা ছিল ধ্বংসাত্মক। পরীক্ষার ফলে কমপক্ষে ১৫০০ টুকরো ধ্বংসস্তুপ সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। আরো ছোট কয়েক হাজার টুকরো কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। বর্তমানে এসব ধ্বংসস্তূপ সব জাতির স্বার্থের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে গতকালই মার্কিন স্পেস কমান্ড বলেছিল, মহাকাশে আবর্জনা সৃষ্টিকারী কিছু একটা ঘটেছে তবে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে নি।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রোসকসমস এক টুইটার বার্তায় বলেছে, “যেসব বস্তু কক্ষপথে ছিল তা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ক্রুদেরকে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাজ করতে হয়েছে। এই স্টেশনটি গ্রিন জোনে অবস্থিত।”
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় রাশিয়া তার স্যাটেলাইট কসমক-১৪০৮’কে ভেঙে ফেলেছে বলেই মনে হচ্ছে। এই গোয়েন্দা স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। এর ওজন এক টনের বেশি।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১৬