রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বন্ধ করে দেয়ার হুমকি বাইডেনের
https://parstoday.ir/bn/news/world-i103534-রাশিয়ার_গ্যাস_পাইপলাইন_প্রকল্প_বন্ধ_করে_দেয়ার_হুমকি_বাইডেনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন দখল করলে নর্ডস্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বন্ধ করে দেবে আমেরিকা। তিনি ওয়াশিংটন সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে সাক্ষাতে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জার্মানি ও আমেরিকা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করার অপেক্ষায় রয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২ ১০:৫৭ Asia/Dhaka
  • সোমবার হোয়াইট হাউজে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংবাদ সম্মেলন
    সোমবার হোয়াইট হাউজে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংবাদ সম্মেলন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেন দখল করলে নর্ডস্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বন্ধ করে দেবে আমেরিকা। তিনি ওয়াশিংটন সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে সাক্ষাতে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জার্মানি ও আমেরিকা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিহত করার অপেক্ষায় রয়েছে।

নর্ডস্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস জার্মানি হয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোতে রপ্তানি হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি যাতে বাস্তবায়িত না হয় সেজন্য আমেরিকা বহুদিন যাবত চেষ্টা করে আসলেও জার্মানির বিরোধিতার কারণে এতদিন তা সম্ভব হয়নি। এবার ইউক্রেন ইস্যুতে এটি বানচাল করার জন্য একটি মোক্ষম অজুহাত পেয়ে গেছে ওয়াশিংটন। 

এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ‘অত্যাসন্ন’ হয়ে পড়েছে বলে যখন পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করছে তখন সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে চায় না বলে দাবি করলেও সে প্রতিশ্রুতিতে ভরসা করতে চায় না আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো।

নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের বেশিরভাগ নেয়া হয়েছে বাল্টিক সাগরের ভেতর দিয়ে

রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করলেও ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে। মস্কো বলছে, ইউক্রেনকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে এই জোটের সেনা সংখ্যা হ্রাস করতে হবে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি দু’টি বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না বরং পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কমানোর বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে তারা আলোচনায় বসতে রাজি আছে।

এদিকে ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার আশায় মস্কো সফর করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। ইউক্রেন নিয়ে পাশ্চাত্যের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর থেকে ম্যাকরন প্রথম কোনো পশ্চিমা নেতা যিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন।

গণমাধ্যমে দুই প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের দৃশ্য প্রকাশিত হলেও তাদের মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।

পুতিন তার ফরাসি সমকক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে সংকট সমাধানের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য ম্যাকরনকে ধন্যবাদ জানান। ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি উত্তেজনা প্রশমন ও পরস্পরের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করতে চান। গণমাধ্যমে দুই প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতের দৃশ্য প্রকাশিত হলেও তাদের মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। 

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন আজ (মঙ্গলবার) ইউক্রেন সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির ঝিলনেস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে কথা রয়েছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/৮