দোনবাসের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহার হবে: পুতিন
(last modified Wed, 23 Feb 2022 03:28:35 GMT )
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ ০৯:২৮ Asia/Dhaka
  • ইলহাম আলিয়েভ (বামে) ও ভ্লাদিমির পুতিন
    ইলহাম আলিয়েভ (বামে) ও ভ্লাদিমির পুতিন

এই মুহুর্তে ইউক্রেন যদি ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ না দেয়ার ঘোষণা দেয় তাহলে সহজেই চলমান সঙ্কট নিরসন হতে পারে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানী মস্কোয় আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া দনেস্ক ও লুহানস্কের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনে সামরিক শক্তি ব্যবহার করার কথাও জানান তিনি। ইউক্রেন সরকার মিনস্ক চুক্তি লঙ্ঘন করায় দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতি দিতে রাশিয়া বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করেন পুতিন

রাশিয়া সফরকারী আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের দনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয়ার পরই দোনবাস অঞ্চলে সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তার এ প্রস্তাবে মঙ্গলবার সম্মতি দেয় রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ফেডারেল কাউন্সিল।

দোনবাসে যেকোনো সময় সেনা পাঠাতে পারে রাশিয়া

দনেস্ক ও লুহানস্কে সেনা পাঠানোর প্রস্তাবে সমর্থন পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ইউক্রেন ন্যাটোতে  দেবে না, কিয়েভের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণাই বর্তমান সঙ্কট সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায়। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মিনস্ক চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, কিয়েভের এমন আচরণের কারণেই মস্কো, দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে।

দোনবাস অঞ্চলের জনগণ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলো, তাদের ওপর গণহত্যার মতো আশঙ্কাও ছিলো বলে দাবি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এমন বাস্তবতায় চুপ থাকা যায় না#

পার্সটুডে/এসআইবি/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।