‘এমনি এমনি সামরিক অভিযান শুরু করেনি মস্কো’
ইউক্রেনের ‘রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার অধিকার’ প্রশ্নবিদ্ধ হবে: পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রকারান্তরে মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করা তার জন্য কষ্টকর ছিল বলেও জানিয়েছেন পুতিন।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালানোর ঘোষণা দেয়।মস্কো ঘোষণা করে, এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে ইউরোপীয় ও মার্কিন সংবাদ মাধ্যমগুলো রাশিয়ার এ ঘোষণার একাংশ প্রকাশ করে জানায়, কিয়েভের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মস্কো।এর জের ধরে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এ সম্পর্কে শনিবার রুশ প্রেসিডেন্টের একটি বক্তব্য প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক। সেখানে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় স্বশাসিত দোনবাস অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনী ও রুশপন্থি অস্ত্রধারীদের সংঘর্ষ বন্ধ করে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রুশ ফেডারেশন বহু চেষ্টা চালিয়েছে। পুতিন বলেন, দোনবাসের রুশভাষী নাগরিকদের সেখানে স্বাধীনভাবে বসবাস করার এবং রুশ ভাষায় কথা বলার অধিকার ছিল কিন্তু কিয়েভ তাদেরকে তা করতে দেয়নি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুস্পষ্ট ভাষায় বলেন, দোনবাসের জনগণ ‘রাস্তার কুকুর’ নয়। গত আট বছরে সেখানকার ১৩ থেকে ১৪ হাজার মানুষকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী হত্যা করেছে অথচ পশ্চিমা দেশগুলো এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব থেকেছে। কাজেই চলমান সামরিক অভিযান চালানো ছাড়া মস্কোর সামনে অন্য কোনো অপশন খোলা রাখেনি পাশ্চাত্য।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন প্রসঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর নীতি অবস্থানকে ‘হাস্যকর নাটক’ উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়া নিজের প্রকৃত নিরাপত্তা হুমকির ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকতে পারে না। পুতিন বলেন, কিয়েভের বর্তমান নেতাকে একথা বুঝতে হবে যে, তারা যদি বর্তমান ধারায় তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায় তাহলে ইউক্রেনের ‘রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার অধিকার’ প্রশ্নবিদ্ধ হবে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।