রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র বলতে নারাজ বাইডেন
(last modified Wed, 07 Sep 2022 12:26:07 GMT )
সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২২ ১৮:২৬ Asia/Dhaka

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জন-পিয়ের গতকাল (মঙ্গলবার) বলেছেন, রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত না করার সিদ্ধান্তে অটল বাইডেন। তিনি সুস্পষ্ট করে বলেছেন- এটা সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শক্তিশালী কিংবা কার্যকর কোনো উপায় নয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সোমবার বলেছেন: রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরা উচিত নয়। কৃষ্ণ সাগর দিয়ে খাদ্য রপ্তানি এবং জাহাজ চলাচলের কথা উল্লেখ করে হোয়াইট হাউসের এই মুখপাত্রের সচিব ভেদান্ত প্যাটেল বলেন: সন্ত্রাসবাদের সমর্থনকারী দেশ হিসেবে রাশিয়াকে ট্যাগ লাগানো হলে খাদ্য রপ্তানিতে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদ সমর্থনকারী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় না দেওয়ার ব্যাপারে বাইডেনের অবস্থান মার্কিন কংগ্রেসের অবস্থানের সাথে সাংঘর্ষিক। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই মার্কিন কংগ্রেস রাশিয়ার ওপর বিচিত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ক্রমবর্ধমান চাপ প্রয়োগের পন্থা বেছে নিয়েছে। একইভাবে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক দেশ হিসেবে ট্যাগ লাগিয়ে ওই চাপ তীব্রতর করার আহ্বান জানায় কংগ্রেস। ২০২২ সালের জুলাইয়ের শেষের দিকে, মার্কিন সিনেট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধে একটি প্রস্তাব পাস করে। ওই প্রস্তাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়-চেচনিয়া, জর্জিয়া, সিরিয়া এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের জন্য মস্কোকে যেন সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। মস্কোকে মোকাবেলা করতে বাইডেন প্রশাসনের ওপর আরও বেশি চাপ দেওয়ার লক্ষ্যে সিনেটে ওই প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী কোনো দেশকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করার দায়িত্ব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর বর্তায়। ব্লিঙ্কেনের ওপর তাই যথেষ্ট চাপ রয়েছে। এদিকে রাশিয়া স্পষ্ট হুশিয়ার করে দিয়েছে এ ধরনের বিল পাশ হওয়ার মানে হলো ওয়াশিংটন-মস্কোর সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন হয়ে যাওয়া।

বাইডেন প্রশাসন রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ঘোষণা করার বিরোধিতার আরেকটি কারণ হল, এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে মস্কোর সাথে ভবিষ্যতে কোনোরকম আলোচনা করা কঠিন এবং জটিলতর হয়ে উঠবে। আরেকটি বিষয় লক্ষনীয়, তা হলো মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও সমন্বয়হীনতা যে বেশ গভীর, তাও বিশ্ববাসীর সামনে ফুটে উঠলো।#

পার্সটুডে/এনএম/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ