সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২ ০৬:৩৯ Asia/Dhaka
  • মাসুদ আজহারের সাম্প্রতিককালের কোনো ছবি পাওয়া যায় না; গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার সব ছবি ১৯৯০-এর দশকের
    মাসুদ আজহারের সাম্প্রতিককালের কোনো ছবি পাওয়া যায় না; গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার সব ছবি ১৯৯০-এর দশকের

আফগানিস্তানের তালেবান সরকার দেশটিতে পাকিস্তানের জইশ-ই-মোহাম্মাদ গোষ্ঠীর নেতা মাসুদ আজহারকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোতে এ খবর প্রচারিত হয় যে, মাসুদ আজহার আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কুনার অথবা নানগারহার প্রদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

খবরে আরো বলা হয়, পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে কাবুলকে চিঠি পাঠিয়ে মাসুদ আজহারের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করার জন্য তালেবান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু এ ব্যাপারে তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জবিহউল্লাহ মুজাহিদ  বলেছেন, পাকিস্তানের কাছ থেকে তালেবান এরকম কোনো চিঠি পায়নি এবং মাসুদ আজহারও আফগানিস্তানে নেই। এছাড়া, তালেবান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, “আমরা আরেকবার জোর দিয়ে উল্লেখ করতে চাই যে, অন্য কোনো দেশের কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ইসলামি আমিরাতে [আফগানিস্তান] তৎপরতা চালানোর অনুমতি দেয়া হবে না। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রচারণার ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জবিহউল্লাহ মুজাহিদ- মাসুদ আজহার

একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জইশ-ই-মোহাম্মাদের তৎপরতা পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে দেশটির পক্ষ থেকে আফগানিস্তানকে দেয়া যে চিঠির কথা প্রচার করেছে সে ব্যাপারে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।

পাকিস্তানি নাগরিক মাসুদ আজহার ভারতের মাটিতে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার দায়ে অভিযুক্ত। তিনি ১৯৯৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ‘লড়াই’ করতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে অনুপ্রবেশ করে গ্রেফতার হন।   ১৯৯৯ সালে পাঁচ নেকাবধারী পাকিস্তানি নাগরিক একটি যাত্রীবাহী ভারতীয় বিমান ছিনতাই করে আফগানিস্তানের কান্দাহারে নিয়ে যান।বিমানটির যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে কয়েকদিনের আলোচনা শেষে ছিনতাইকারীদের দাবি মেনে নিয়ে মাসুদ আজহারকে মুক্তি দেয় ভারত। মুক্তি পাওয়ার পর পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে জইশ-ই-মোহাম্মাদ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন মাসুদ আজহার।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ