লকারবি বোমা হামলার ৩৪ বছর পর সন্দেহভাজনকে আটক করলো আমেরিকা
https://parstoday.ir/bn/news/world-i117112-লকারবি_বোমা_হামলার_৩৪_বছর_পর_সন্দেহভাজনকে_আটক_করলো_আমেরিকা
৩৪ বছর আগে সংঘটিত লকারবি বোমা হামলার অন্যতম সন্দেহভাজন আবু আগিলা মাসুদকে আমেরিকার কারা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি লিবিয়ার নাগরিক এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, ১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর লকারবির আকাশে প্যান-অ্যাম ফ্লাইট ১০৩-এ যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল সেই বোমা তৈরি করেছিলেন আগিলা মাসুদ।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ডিসেম্বর ১২, ২০২২ ১১:০৩ Asia/Dhaka
  • লকারবি বোমা হামলার ৩৪ বছর পর সন্দেহভাজনকে আটক করলো আমেরিকা

৩৪ বছর আগে সংঘটিত লকারবি বোমা হামলার অন্যতম সন্দেহভাজন আবু আগিলা মাসুদকে আমেরিকার কারা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি লিবিয়ার নাগরিক এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, ১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর লকারবির আকাশে প্যান-অ্যাম ফ্লাইট ১০৩-এ যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল সেই বোমা তৈরি করেছিলেন আগিলা মাসুদ।

দুই বছর আগে মার্কিন আদালত মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বলেছিল, তিনি ১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর লকারবিতে সংঘটিত বোমা হামলার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বোমা বিস্ফোরণে একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান বিস্ফোরিত হয়ে ২৭০ জন নিহত হয়েছিলেন। এটি ব্রিটেনের মাটিতে সংঘটিত সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসী ঘটনা।

লন্ডন থেকে নিউইয়র্কগামী ওই বিমানে ২৪৩ জন যাত্রী এবং ১৬ জন ক্রুসহ মোট ২৫৯ জন আরোহী ছিলেন। বোমা বিস্ফোরণে তারা সবাই মারা যান। এছাড়া, বিমানটি লকারবির শহরের একটি বাড়ির ওপর বিধ্বস্ত হওয়ার কারণে সেখানে আরো ১১ জন নিহত হন।

সন্দেহভাজন মাসুদকে গত মাসে অপহরণ করা হয়। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয় যে, মাসুদকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সঠিক বলে প্রমাণ হলো।

মার্কিন বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র জানান, “সন্দেহভাজন মাসুদকে ওয়াশিংটনের কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট আদালতে প্রাথমিকভাবে হাজির করা হবে। পাঁচ বছর আগে তিনি বোমা তৈরির অভিযোগে লিবিয়ার কারাগারে ছিলেন।”

এর আগে লকারবি হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসের এক বিশেষ আদালতে আবদেল বাসেত আল-মাগরাহি নামে এক ব্যক্তি অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে ওই হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

নেদারল্যান্ডসের আদালত মাগরাহিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ক্যানসার ধরা পড়ার পর ২০০৯ সালে সরকার তাকে সহানুভূতির ভিত্তিতে মুক্তি দেয়।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।