জার্মান সেনাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা থেকে অব্যাহতির আবেদন বৃদ্ধি
(last modified Sat, 07 Jan 2023 11:38:26 GMT )
জানুয়ারি ০৭, ২০২৩ ১৭:৩৮ Asia/Dhaka
  • জার্মান সেনাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা থেকে অব্যাহতির আবেদন বৃদ্ধি

ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা জার্মান সেনাসংখ্যা বেড়েছে। যুদ্ধাঞ্চলে উপস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি পেতেও জার্মান সেনাদের আবেদনের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২) ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো এবং তাদের মিত্ররা সরাসরি সামরিক সংঘাতে জড়িত হতে চায় নি। তবে অস্ত্র বা সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।

জার্মানির ৯৫১ সেনা ২০২২ সালে রণাঙ্গনে সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। ডয়চে ভেলে'র অনলাইন সংস্করণ জার্মানির সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে আজ (শনিবার) ওই তথ্য জানিয়েছে। ডয়চে ভেলে আরও লিখেছে ওই মুখপাত্র জার্মানির আরএনডি মিডিয়া গ্রুপকে এবিষয়ক তথ্য দিয়েছেন।

ডয়চে ভেলে আরও জানায় ২০২১ সালে সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরিষেবা থেকে অব্যাহতির আবেদন পড়েছিল ২০১টি। ২০২২ সালে এই আবেদনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫১ জনে৷

ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধিই আবেদনের পরিমাণ বাড়ার কারণ বলে জানোনো হয়েছে। ২০১১ সাল পর্যন্ত জার্মানির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করা গ্রাজুয়েটদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে কিছুদিনের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরিষেবায় যেতে হতো।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে জার্মানি আন্তর্জাতিক সামরিক অভিযানে ক্রমবর্ধমান ভূমিকা পালন করে আসছে। এইসব অভিযান অবশ্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ছিল না। আফগানিস্তানেও দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনা সরবরাহকারী দেশ ছিল জার্মানি। ২০২১ সালে হঠাৎ করেই আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়ার আগ পর্যন্ত জার্মান সেনারা কাবুলে উপস্থিত ছিল।#

পার্সটুডে/এনএম/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ