তুরস্কে নজিরবিহীন ভূমিকম্প:
উদ্ধারকাজে ধীর গতির অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ত্রাণ প্রয়োজন
তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকরা ত্রাণের ধীরগতির সমালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব ত্রাণ-সাহায্যের দাবি জানিয়েছে।
গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় দুটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সময় যতই যাচ্ছে, লজিস্টিক ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সুবিধার অভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের বাঁচানোর আশা হতাশায় পরিণত হচ্ছে। ত্রাণের স্বল্পতা এবং ধীরগতির কারণে জনগণের সমালোচনার খবরাখবর গণমাধ্যমে উঠে আসছে। বার্তা সংস্থা ইরান-প্রেস জানিয়েছে, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সংঘটিত নজিরবিহীন ওই ভূমিকম্পে বহু নিহত মানুষ এখনও ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকা পড়ে আছে।

কাহরামন মারাশ এলাকার এক তুর্কি অধিবাসী ইরান-প্রেসের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন: তাঁর ১৩ ও ১৫ বছর বয়সী ২ সন্তান এখনও ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকে আছে। তারা মহা বিপড়ে আছেন বলে তিনি হাহাকার ব্যক্ত করেন। ওই তুর্কি নাগরিক আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাহায্যের আবেদন জানান। অপর এক তুর্কি নাগরিক বলেন: '৩ দিন ধরে অপেক্ষায় আছি, যদি ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে ফেলা হতো তাহলে হয়তো সন্তানকে জীবিত পেতাম'। আরেকজন নাগরিক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতার ধীর গতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন: যত দ্রুত সম্ভব ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলা উচিত। তা না করে সবাই কেবল ঘুরে বেড়াচ্ছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ২৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
ইরান এরইমধ্যে তুরস্কে জরুরি ত্রাণসহ সাহায্যকারী দল পাঠিয়েছে। ৫০ জনের একটি উদ্ধারকারী টিম এবং জরুরী চিকিৎসা সামগ্রীও পাঠানো হয়েছে।#
পার্সটুডে/এনএম/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।