ইউক্রেন যুদ্ধ: ইউরোপের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি, মার্কিন অস্ত্রের ব্যবসা রমরমা
(last modified Wed, 26 Apr 2023 07:19:22 GMT )
এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ১৩:১৯ Asia/Dhaka

ইউরোপে সামরিক ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। বলা হচ্ছে, গত তিন দশকের মধ্যে গত ২০২২ সালে সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয় হয়েছে ইউরোপে। ব্যয় বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধ।

এক বছরে সামরিক খাতে ইউক্রেনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে যা মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি'র এক তৃতীয়াংশ। এছাড়া, ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে, রাশিয়ার সামরিক ব্যয়ও ৯.২ শতাংশ বেড়েছে।

যুদ্ধরত দুই দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার সামরিক ব্যয় বৃদ্ধিকে বাদ দিলেও দেখা যায়, ইউরোপের অন্য দেশগুলোও সামরিক খাতে খরচ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়েছে। গত বছর ইউরোপীয় দেশগুলো সামরিক খাতে বিনিয়োগ করেছে ৪৮০ বিলিয়ন ডলার। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষক ড. নান তিয়ান বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপীয় দেশগুলো সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন ভাবে বাড়িয়েছে।

ইউরোপের সর্ববৃহৎ অর্থনীতির দেশ জার্মানিও নিজের সামরিক শক্তি বাড়াতে ১০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। এতে খুশি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানি এখন আমেরিকার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান কেনার পরিকল্পনা করছে। অবশ্য দেশটির অভ্যন্তরেই এ বিষয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।

ইউক্রেনকে যত বেশি সম্ভব অস্ত্র সরবরাহ করতে আমেরিকা প্রথম থেকেই ইউরোপকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে পারলে আমেরিকার নানা দিক থেকে লাভ। এর ফলে আমেরিকা আগের চেয়ে আরও বেশি অস্ত্র বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে এবং ইউরোপ আর্থ-সামরিক দিক থেকে আরও বেশি আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।

ইউরোপের সামরিক ব্যয় বাড়ার ক্ষেত্রে উচ্চমূল্যের মার্কিন এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান ক্রয়ের প্রবণতা অনেকাংশে দায়ী। যে জার্মানি অতীতে মার্কিন অস্ত্র কেনার বিরুদ্ধে ছিল, আজ সেই জার্মানিও যুক্তরাষ্ট্রের নানা ধরণের অস্ত্র কিনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।#

পার্সটুডে/এসএ/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।