রুশ প্রেসিডেন্টের বিদ্রোহ পরবর্তী ভাষণ
পাশ্চাত্য ও ইউক্রেন চেয়েছিল রুশরা পরস্পরকে হত্যা করুক: পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ওয়াগনার গ্রুপের গত রোববারের বিদ্রোহের সময় তার দেশের সেনাবাহিনীকে রক্তপাত এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেছেন, পাশ্চাত্য ও ইউক্রেন চেয়েছিল রুশরা পরস্পরকে হত্যা করুক।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক টেলিভিশন ভাষণে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ঘটনার শুরু থেকে আমার নির্দেশে বড় ধরনের রক্তপাত এড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।”
পুতিন বলেন, “যারা ভুল করেছে তাদেরকে সঠিক উপলব্ধিতে ফিরে আসার সুযোগ দেয়ার জন্য অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সময়ের প্রয়োজন ছিল।তাদেরকে একথা উপলব্ধি করার সুযোগ দেয়া হয়েছে যে, তাদের পদক্ষেপকে সমাজ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা যে বিপজ্জনক খেলায় নেমেছে রাশিয়ার জন্য তা ধ্বংসাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে।”
বিদ্রোহের সময় ‘ধৈর্য, ঐক্য ও দেশপ্রেমের পরাকাষ্ঠা’ প্রদর্শন করায় তিনি রাশিয়ার জনগণকে ধন্যবাদ জানান। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার শত্রুরা আমাদের দেশে ভ্রাতৃহত্যা দেখতে চেয়েছিল। কিয়েভের নব্য-নাৎসি, তাদের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষক এবং সব ধরনের জাতীয় বিশ্বাসঘাতক- সবাই চেয়েছিল, রুশ সেনারা একে অপরকে হত্যা করুক।
রাশিয়ায় যেকোনো অস্থিরতা প্রদর্শনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে প্রত্যয় জানিয়ে পুতিন বলেন, দেশের জনগণ যে সংহতি প্রদর্শন করেছে তার ফলে প্রমাণিত হয়েছে যে, রুশদের ব্ল্যাকমেল করা বা এদেশে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ সৃষ্টি করার যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য।
রক্তপাত এড়াতে ওয়াগনার গ্রুপের যেসব কমান্ডার ও সৈনিক নীরবতা অবলম্বন করেছে তাদেরকেও ধন্যবাদ জানান ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, যারা বেলারুশে যেতে চায় তাদেরকে সেদেশে যাওয়ার সুযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে তিনি অটল রয়েছেন। আর যারা যেতে না চায় তারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি করতে কিংবা অস্ত্র পরিত্যাগ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারবে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ২৭