চার সেঞ্চুরির রেকর্ড ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়
https://parstoday.ir/bn/news/world-i129218
২০২০ বিশ্বকাপের অষ্টম ম্যাচে আবদুল্লাহ শাফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জোড়া সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড এটিই। ২০১১ আসরে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের জয় ছিল আগের রেকর্ড।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
অক্টোবর ১০, ২০২৩ ২৩:১৮ Asia/Dhaka
  • আবদুল্লাহ শফিককে সঙ্গে নিয়ে ১৭৬ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
    আবদুল্লাহ শফিককে সঙ্গে নিয়ে ১৭৬ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

২০২০ বিশ্বকাপের অষ্টম ম্যাচে আবদুল্লাহ শাফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জোড়া সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড এটিই। ২০১১ আসরে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের জয় ছিল আগের রেকর্ড।

আজ (মঙ্গলবার) হায়দারাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কুসল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জোড়া শতকে ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিস ৭৭ বলে ১২২ ও সামারাবিক্রমা ৮৯ বলে ১০৮ রান করেন।

৩৪৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ৩৭ রানে দুই ব্যাটারকে হারায় তারা। এরপর ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দু'জন মিলে ১৭৬ রানের জুটি গড়েন। এরই মাঝে শতক পূর্ণ করেন শফিক। তবে দলীয় ২১৩ রানে ১০৩ বলে ১১৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান শফিক। এরপর ক্রিজে আসা সৌদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিজওয়ান।

দলীয় ৩০৮ রানে ৩০ বলে ৩১ রান করে আউট হন শাকিল। অন্যদিকে সাবলীল ব্যাটিংয়ে নিজের শতক পূর্ণ করেন রিজওয়ান। এরপর ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ১০ বল বাকী থাকতে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। লঙ্কানদের পক্ষে দিলশান মাদুশাঙ্কা নেন দুটি উইকেট। 

এর আগে, কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমার সেঞ্চুরিতে ৩৪৪ রানের শক্ত সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে শ্রীলঙ্কা। যার খেসারত দিতে হয় ইনিংসের শুরুতে। দলীয় ৫ রানের মাথায় হাসান আলির শর্ট লেন্থ ডেলিভারিতে পয়েন্টের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে রিজওয়ানের হাতে ধড়া পড়েন কুশল পেরেরা। রানের খাতাই খুলতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার।

এরপর পাথুম নিশানকাকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন আরেক ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। এই দুজনের ১০২ রানের জুটিতে ভর করে চাপ সামাল দিয়ে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে দলীয় ১০৭ রানের মাথায় শাবাদ খানের বলে পয়েন্ট দাঁড়িয়ে থাকা আবদুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিশানকা। ৬১ বলে ৫১ রান করেন এই ওপেনার। তার বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়লেও, সেই চাপ দারুণভাবে সামাল দেন মেন্ডিস-সামারাবিক্রমা জুটি। পাকিস্তান বোলারদের পাত্তা না দিয়ে গড়ে তোলেন ১১১ রানের কার্যকরী জুটি।

এরপর দলীয় ২১৮ রানে বিদায় নেন ছন্দে থাকা ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। আউটের আগে খেলেন ৭৭ বলে ১২২ রানের ঝলমলে ইনিংস। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করেন সামারাবিক্রমা।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন পেসার হাসান আলি। এছাড়া, হারিস রাউফ দুটি এবং শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাহাব খান একটি করে উইকেট লাভ করেন।

১২১ বলে ১৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ পুরস্কান পান মোহাম্মদ রিজওয়ান।#

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।