মার্চ ০৮, ২০২৪ ১৫:০৭ Asia/Dhaka
  • ত্রাণের নামে গাজায় বন্দর: সরাসরি সামরিক আগ্রাসনের কৌশল!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দেশের সেনাবাহিনীকে কথিত ত্রাণ তৎপরতা চালাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উপকূলে একটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সাগরপথে সামরিক সহযোগিতা করার লক্ষ্যে মূলত এ ধরনের জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন।

গত পাঁচ মাস ধরে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার সমরাস্ত্র দিয়েই গাজাবাসীর ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল।

বাইডেন বৃহস্পতিবার রাতে তার বার্ষিক স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে বলেছেন, গাজাবাসীর কাছে বিশালকায় জাহাজে করে যাতে খাদ্য, ওষুধ, পানি এবং অস্থায়ী আশ্রয় শিবির পৌঁছে দেয়া যায় সেজন্য তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীকে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে একটি জেটি নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কোনো মার্কিন সেনা গাজা উপত্যকায় পা ফেলবে  না বলে তিনি দাবি করেন।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ‘সমমনা দেশ ও মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সহযোগীদের’ সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে গাজায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে জেটিটি নির্মাণ করা হবে। অস্থায়ী বন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন ‘কয়েকশ ট্রাক অতিরিক্ত ত্রাণ’ গাজায় প্রবেশ করবে বলে ওই মার্কিন কর্মকর্তা দাবি করেন।

তিনি বলেন, কথিত মানবিক ত্রাণের ‘নিরাপত্তা রক্ষার জন্য’ ইসরাইলের সাহায্য নেয়া হবে এবং প্রাথমিকভাবে ত্রাণ সরবরাহ সাইপ্রাস থেকে আসবে।

এমন সময় আমেরিকার পক্ষ থেকে এ ঘোষণা এল যখন শুধুমাত্র ইসরাইলি বাধার কারণে গাজার রাফাহ সীমান্তে হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে রয়েছে। আমেরিকা যদি সত্যিই গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ পাঠাতে আগ্রহী হয় এবং সে কাজে ইসরাইলেরই সহযোগিত লাগে তাহলে রাফাহ ক্রসিংয়ে আটকে পড়া ট্রাকগুলোকে প্রবেশ করার সুযোগ দিলে মুহূর্তের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। 

এ কারণে পর্যবেক্ষকরা গাজায় জেটি নির্মাণের মার্কিন উদ্দেশ্য সম্পর্কে ঘোরতর সংশয় প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, ইসরাইলকে সমরাস্ত্র দিয়ে গত পাঁচ মাস ধরে পরোক্ষভাবে গাজাবাসীকে হত্যা করেছে মার্কিন সরকার। এবার ওয়াশিংটন নিজে গাজায় সেনা মোতায়েন করে এই উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা করতে চায় এবং সেই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতেই বন্দর নির্মাণের জন্য ত্রাণ তৎপরতাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ৮

ট্যাগ