বিশ্বব্যাপী ইসরাইলি কোম্পানিগুলোকে বয়কট
ইহুদিবাদীদের বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় বিক্ষোভকারীদের স্লোগান
পার্সটুডে- ইহুদিবাদী ইসরাইলের নৃশংস গণহত্যার শিকার গাজাবাসীর সমর্থনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এখনও ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভের মাধ্যমে ইউরোপের অধিবাসীরা অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরাইলের ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছেন।
পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে, বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানানো পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের জাতিগত নিধনযজ্ঞ বন্ধ করার আহ্বান জানান।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল: “জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বন্ধ করুন” এবং “গাজায় শিশুরা গণহারে মারা পড়ছে।”
সুইডেনের পরিবেশবাদী কর্মী গুর্টা টোনবার্গ বিক্ষোভ মিছিলের অবকাশে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকারে বলেন: যখন বিশ্বের কোথাও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলে তখন সে ব্যাপারে নীরব থাকার অর্থ ওই অপরাধের সহযোগী হওয়া। আমাদেরকে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের পাশাপাশি তেল আবিবের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
ইতালির রাজধানী রোমেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি ইতালি সরকারের সমর্থনের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন: ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকার রয়েছে।
ব্রিটেনেও ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। দেশটির লিভারপুল শহরে লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলনের আগ মুহূর্তে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিটিশ নাগরিকরা গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তেল আবিবের কাছে সমরাস্ত্র পাঠানো পুরোপুরি বন্ধ করতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের নিরপরাধ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইসরাইলি গণহত্যার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।
১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অবৈধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং তাদের গোটা ভূখণ্ড দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্বের বহু দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইলের পতন কামনা করে। এসব দেশ মনে করে, ইসরাইলে উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিবাদীদের উচিত এই অবৈধ ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়া। #
পার্সটুডে/এমএমআই/এমএআর/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।