ইরান-ইরাক নিরাপত্তা স্মারক স্বাক্ষর; গাজায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান
https://parstoday.ir/bn/news/world-i151124
পার্সটুডে-ইরান ও ইরাক আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদার করতে এবং দুই দেশের নিরাপত্তায় যেকোনো বাধা রোধ করতে একটি নিরাপত্তা স্মারক স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে।
(last modified 2025-08-13T10:49:22+00:00 )
আগস্ট ১২, ২০২৫ ১৭:২৩ Asia/Dhaka
  •  ইরান-ইরাক নিরাপত্তা স্মারক স্বাক্ষর; গাজায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

পার্সটুডে-ইরান ও ইরাক আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদার করতে এবং দুই দেশের নিরাপত্তায় যেকোনো বাধা রোধ করতে একটি নিরাপত্তা স্মারক স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে।

ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যার নিন্দা, আরো ৯০ দিনের জন্য মার্কিন ও চীনা বাণিজ্য শুল্ক স্থগিত করা, গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক মোতায়েন এবং গণহত্যাকারী ইসরায়েলের অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ-এই শিরোনামগুলো আজকের পার্সটুডের প্রবন্ধে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদার করতে ইরান-ইরাক নিরাপত্তা স্মারক স্বাক্ষর

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব দুই দেশের নিরাপত্তায় যেকোনো বিঘ্ন রোধ করার লক্ষ্যে ইরাকের সাথে একটি নিরাপত্তা স্মারক স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়েছেন। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব "আলি লারিজানি", যিনি বাগদাদ ভ্রমণ করেছেন,স্মারকলিপি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন: "ইরাকের সাথে নিরাপত্তা স্মারকের মূল লক্ষ্য হলো দুই দেশের নিরাপত্তায় যেকোনো হস্তক্ষেপ এবং বিঘ্ন রোধ করা। মূল লক্ষ্য হলো তেহরান ও বাগদাদের মধ্যে সম্পর্কের স্থায়ী স্থিতিশীলতা তৈরি করা।"

ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যার তীব্র প্রতিক্রিয়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী কর্তৃক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যার নিন্দা জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে "পতনের দ্বারপ্রান্তে" থাকা ইসরায়েলের দুর্বলতা এবং ভয়ের লক্ষণ বলে মনে করেন। ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা কর্তৃক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যার স্পষ্ট প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি বলেছেন: ইসরাইল সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। এটি কি ক্ষমতার লক্ষণ? নাকি পতনের দ্বারপ্রান্তে থাকা বিচ্ছিন্ন এবং বিশ্বব্যাপী ঘৃণিত একটি শাসক গোষ্ঠীর সন্ত্রাসের লক্ষণ?

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের কাছে অবস্থিত সাংবাদিকদের একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ড্রোন হামলায় সাতজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে আল জাজিরার দুইজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

গাজা সীমান্তের কাছে ব্যাপক ইসরায়েলি সামরিক মোতায়েনের উন্মোচন

একটি আমেরিকান মিডিয়া আউটলেট এই অঞ্চলের সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি বাহিনী এবং সামরিক সরঞ্জামের ব্যাপক মোতায়েনের কথা প্রকাশ করেছে; এটি নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার গাজা সম্পূর্ণরূপে দখলের পরিকল্পনার সাথে একযোগে ঘটেছিল। আমেরিকান ম্যাগাজিন নিউজউইক একটি এক্সক্লুসিভ রিপোর্টে ঘোষণা করেছে যে নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে গাজা উপত্যকার আশেপাশে ইসরায়েলি সৈন্য এবং সামরিক সরঞ্জামের উল্লেখযোগ্য সমাবেশ দেখা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘোষণা করে যে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা শহর সম্পূর্ণরূপে দখলের পরিকল্পনা ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। গাজা দখলের সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক নিন্দার ঝড় তুলেছে। বিশ্বজুড়ে অনেক মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠান এই পদক্ষেপের মানবিক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করার পাশাপাশি যুদ্ধের অবিলম্বে অবসান এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। 

গাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ;ইসরায়েলি অপরাধের নিন্দা জানিয়ে তিউনিসিয়া,মরক্কো এবং সুইডেনে বিক্ষোভ

তিউনিসিয়া, মরক্কো এবং সুইডেনের শত শত মানুষ এই অঞ্চলের জনগণকে হামলার তীব্র নিন্দা জানাতে রাস্তায় নেমেছে। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ অব্যাহত রাখার এবং এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অনাহারে রাখার নীতির বিরোধিতা প্রকাশ করতে শত শত তিউনিসিয়ান নাগরিক দেশের রাজধানীর রাস্তায় জড়ো হয়েছিল। মরক্কোতে, বেশ কয়েকজন নাগরিক গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইরায়েলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে এবং যুদ্ধের অবিলম্বে অবসানের আহ্বান জানিয়ে রাস্তার সমাবেশও করেছেন। সুইডিশ রাজধানী স্টকহোমে, কয়েক ডজন মানুষ তেল আবিবের অমানবিক নীতির নিন্দা জানিয়ে এবং গাজার নির্যাতিত জনগণের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করে প্ল্যাকার্ড বহন করছিল। 

বাণিজ্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে; চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারী শুল্ক স্থগিত করেছে

বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ যখন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, তখন বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক শক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে তিন অঙ্কের শুল্ক স্থগিতাদেশ আরো ৯০ দিনের জন্য বাড়াতে সম্মত হয়েছে; বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ মৌসুমী আমদানি স্থিতিশীল করতে এবং বাণিজ্য উত্তেজনা কমাতে সহায়তা করতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তিনি চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্ক স্থগিতাদেশ ১০ নভেম্বর,২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও ঘোষণা করেছে যে বেইজিং শুল্ক স্থগিতাদেশ বাড়ানোর এবং কিছু অ-শুল্ক বাধা অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।#

পার্সটুডে/এমবিএ/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।