আমেরিকা কীভাবে নয়া ঔপনিবেশিক শক্তির পোষাক পরেছে ?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i151590-আমেরিকা_কীভাবে_নয়া_ঔপনিবেশিক_শক্তির_পোষাক_পরেছে
পার্সটুডে- ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিস্তিনি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দলকে ভিসা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছে।
(last modified 2025-09-02T08:13:53+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৫ ১৯:১৯ Asia/Dhaka
  • • আমেরিকা কীভাবে নয়া ঔপনিবেশিক শক্তির পোষাক পরেছে ?
    • আমেরিকা কীভাবে নয়া ঔপনিবেশিক শক্তির পোষাক পরেছে ?

পার্সটুডে- ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ফিলিস্তিনি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দলকে ভিসা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান কায়া কালাস মার্কিন সরকারকে ফিলিস্তিনি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দলকে ভিসা প্রদানের অস্বীকৃতি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পদক্ষেপ অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়ন, বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা এবং ব্যবসার জন্য মার্কিন ভিসা দেয়া হবে না। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (PLO) দ্বারা জারি করা ফিলিস্তিনি পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, তবে দ্বৈত নাগরিকত্বধারী ফিলিস্তিনি বা যারা পূর্বে মার্কিন ভিসা পেয়েছেন তাদের এ নিষেধাজ্ঞার  বাইরে রাখা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগদানের জন্য ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের ভিসা প্রদানের বিরোধিতা করেছিল। আনাদোলু এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান কায়া কালাস মার্কিন সরকারকে ফিলিস্তিনি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দলকে ভিসা প্রদানের অস্বীকৃতি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। কায়া কালাস ঘোষণা করেছেন যে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আগে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে, "দ্য ন্যাশন" ওয়েবসাইট এক নিবন্ধে লিখেছে: আসন্ন জাতিসংঘের অধিবেশনে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের ভিসা না দিয়ে, ওয়াশিংটন কেবল সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাকেই ক্ষুণ্ন করেনি, বরং তার নিজস্ব নৈতিক নীতির অসারতাও প্রকাশ করেছে।

নিবন্ধের লেখক মনে করেন যে এই দপক্ষেপ কেবল অন্যায্যই নয়; ভদ্রভাবে বলতে গেলে, সভ্য বিশ্বের প্রতি উপহাস। এটি নিরপেক্ষতাকে ক্ষুন্ন করে এবং এ বাস্তবতাকে তুলে ধরে যে ফিলিস্তিনি সমস্যাটিকে একটি আইনি বিষয় হিসেবে নয় বরং ক্ষমতার দাপট দেখানোর মাধ্যম হিসাবে দেখানো হচ্ছে। এই ধরনের যেকোনো কৌশল পাশ্চাত্যের প্রকৃত চেহারা উন্মোচন করে এবং বিশ্বকে দেখায় যে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবির আড়ালে ভূমি দখল এবং জাতিগত নির্মূলের এজেন্ডা রয়েছে তাদের।

প্রতিবেদনটি এই বিষয়ে জোর দিয়ে এভাবে শেষ করেছে যে বিশ্ববাসী এখন আর থিঙ্ক ট্যাঙ্কে তৈরি এবং মঞ্চ থেকে তোতাপাখির মতো আলোচনার বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হবে না। #

পার্সটুডে/এমআরএইচ/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।