নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী
রাশিয়ার এক বিজ্ঞানীর জৈবিক অস্ত্রের ধাক্কায় জম্বি হয়ে যাবে পৃথিবীর সব মানুষ!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ভিসা নীতি নিয়ে ‘চাপে পড়লেও বলছে না আ.লীগ, বিএনপিও সতর্ক-প্রথম আলো
- কানাডা-ভারত দ্বন্দ্বে দিল্লিকেই বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্র’-ইত্তেফাক
- ‘রক্ত ধুয়ে তার পর এখান থেকে যাবি’-যুগান্তর
- ইইউকে সিইসির চিঠি-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারের সহযোগিতা পাচ্ছি-মানবজমিন
- স্বামীর ওপর অভিমানে ৩ সন্তানসহ বিষপান, সন্তানদের মৃত্যু-কালের কণ্ঠ
- পাওনা টাকা আদায়ে কৃষককে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেপ্তার১-ডেইলি স্টার বাংলা
কোলকাতার শিরোনাম:
- আড়াল থেকে ট্রুডোকে চালনা করেন এক শিখ নেতা? কার কথায় ‘ওঠেন-বসেন’ কানাডার প্রধানমন্ত্রী?-আনন্দবাজার পত্রিকা
- স্ত্রী'কে গণধর্ষণ, ঘণ্টাখানেক পরেই আত্মঘাতী দম্পতি -আজকাল
- ‘চাকরি চাই’, বারাণসীতেই প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে ঝাঁপ যুবকের,-সংবাদ প্রতিদিন
- অশ্লীল ঘৃণা ভাষণের সাফাই দিচ্ছে বিজেপি, মোদী নীরব-গণশক্তি
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
মার্কিন ভিসা নীতি ও ছাত্রলীগ সম্পর্কিত খবরই বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে। ভিসা নীতি সম্পর্কিত খবরে প্রথম আলোর কয়েকটি খবর এরকম, ভিসা নীতি নিয়ে ‘চাপে’ পড়লেও বলছে না আ.লীগ, বিএনপিও সতর্ক। খবরটিতে বলা হয়েছে, মার্কিন পদক্ষেপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে এ পরিস্থিতির জন্য এককভাবে সরকারকে দায়ী করছে বিএনপি।
যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করায় আওয়ামী লীগ সরকার একধরনের চাপে পড়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রকাশ্যে চাপের বিষয়টি স্বীকার করতে চান না। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার কথা বলছেন। অন্যদিকে বিএনপি এই পরিস্থিতির জন্য এককভাবে সরকারকে দায়ী করছে। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে দলটি। এদিকে, ডিমপি বলেছে, মার্কিন ভিসা নীতিতে পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
আর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনো একটা নীতি (ভিসানীতি) নিয়ে কারও পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা নির্বাচনে বাধা দেবে, এই নীতি তাদের বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হবে।
তবে ভিসা নীতি নিয়ে মানবজমিন বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে। সেখানে তারা বলেছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিক্রিয়া। কেবল নির্বাচনে প্রভাব নয় ভাগ্যও নির্ধারণ করবে। এ সম্পর্কে মানবজমিনের শিরোনাম এরকম যে, সরকার জানে ভিসা নিষেধাজ্ঞায় কতোজন পড়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিনিধিকে ছাত্রলীগের মারধর‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশাররফ শাহকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। মারধরের সময় তাঁকে ছাত্রলীগ নিয়ে সংবাদ না করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোশাররফ।
এ সম্পর্কে যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, মোশাররফ শাহ বলেন সাংবাদিক পরিচয় দিলেও একপর্যায়ে লাঠিসোটা দিয়ে মাথা, হাত ও পায়ে আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে রব হলের দিকে নিয়ে যায় আমাকে। রক্তক্ষরণ হলে তারা বলে— ‘রক্ত ধুয়ে তার পর এখান থেকে যাবি’।
এদিকে যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, ফেনীর সোনাগাজীতে এক কিশোরীকে (১৫) তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমাম হোসেন (৩৫) ও তার সহযোগী রিয়াদকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, চট্টগ্রামের পটিয়ায় চাঁদাবাজির মামলায় যুবলীগ নেতা বুলবুল হোসেনকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন শামীম ওসমান-মানবজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান নিজের অজান্তে কোনো ভুল করে থাকলে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ওমরাহ হজে যাওয়ার আগে শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিরোধী দলসহ সবার কাছে তিনি ক্ষমা চান। তিনি বলেন, আমি একজন মানুষ। ফেরেশতা আর শয়তানের ভুল হয় না। মানুষ হিসেবে আমার ভুল হতেই পারে। রাজনীতি করি । অনেক সময় অনেক কথা বলতেই হয়। হয়তো যারা অপজিশনে তারা কষ্ট পান। আমি তাদের সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি হাতজোড় করে।
‘কানাডা-ভারত দ্বন্দ্বে দিল্লিকেই বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্র’-ইত্তেফাক
ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার এ প্রসঙ্গে ভারতের পক্ষে থাকার কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রকে যদি কানাডা ও ভারতের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হয়, তাহলে ওয়াশিংটন নিশ্চিতভাবে দিল্লিকে বেছে নেবে। এক প্রতিবেদনে এমনটি ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
‘চাকরি চাই’, বারাণসীতেই প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে ঝাঁপ যুবকের-সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নিরাপত্তা লঙ্ঘন। পাঞ্জাবের পর এবার বারাণসী, খোদ প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় এলাকায় ঘটে গিয়েছে এই ঘটনা। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক। প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ছিল মাত্র ২০ মিটার। যদিও সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীর ওই যুবককে সরিয়ে নিয়ে যায়।
ভারতে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ফাঁস, চুরি হয়ে যাচ্ছে টাকা-বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত এ খবরে লেখা হয়েছে, আধার কার্ড মানে জাতীয় পরিচয়পত্র। তবে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। আগেই জানিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু বাস্তবে আধার নম্বরের প্রয়োজন হয় প্রতিটি ক্ষেত্রে।
দেশটির প্রায় সব ডিজিটল লেনদেনে আধার নম্বর যুক্ত করা বাধ্যতামূলক। আর তাতেই হয়েছে সমস্যা। আধার নম্বর থেকে খোলা বাজারে বেরিয়ে পড়েছে ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য। আর তা ব্যবহার করেই শুরু হয়েছে জালিয়াতি।কলকাতা বিমানবন্দর থানা অঞ্চলের অধিবাসী এক নারী সম্প্রতি পাঁচ লাখ রুপি খুইয়েছেন। তিনি যে সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন, আগেই তা বুঝতে পেরে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি হয়ে গেছে।
জম্বি হয়ে যাবে পৃথিবীশুদ্ধ মানুষ! ঘনাচ্ছে ভয়াবহ ভবিষ্যতের আশঙ্কা-সংবাদ প্রতিদিন
• এমন কি হতে পারে, এমন অতিমারীর দেখা মিলল, যেখানে আশ্চর্য ক্ষতিকর কোনও ভাইরাস রাতারাতি দেশজুড়ে সব মানুষের শরীরে ভরে দিল জম্বিত্বের বীজ!
• আর দলে দলে সেই জম্বিরা আক্রমণ করতে শুরু করল তখনও 'স্বাভাবিক' থাকা মানুষদের?
• এমন আশঙ্কার মেঘ যেন ক্রমেই ঘন হচ্ছে, মত বহু মানুষেরই।
প্রশ্ন হল, বইয়ের পাতা বা সিনেমা-সিরিজের স্ক্রিনে যা মানায় তা কি বাস্তব হতে পারে কখনও? কোভিডের (COVID-19) মুখোমুখি হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে নেমে আসা আতঙ্কের ঘনস্রোতের সামনে পড়ার অভিজ্ঞতায় মানুষের মনে এখন মাঝে মাঝেই উঁকি মারে প্রশ্নটা। এমন কি হতে পারে, এমন অতিমারীর দেখা মিলল, যেখানে আশ্চর্য ক্ষতিকর কোনও ভাইরাস রাতারাতি দেশজুড়ে সব মানুষের শরীরে ভরে দিল জম্বিত্বের বীজ! আর দলে দলে সেই জম্বিরা আক্রমণ করতে শুরু করল তখনও ‘স্বাভাবিক’ থাকা মানুষদের?
এবছরের জুন মাসে একটা খবর অনেকের নজরেই পড়ে থাকবে। আমেরিকায় (US) ক্রমেই বাড়ছে এমন এক মাদকের নেশা যার প্রভাবে নেশাচ্ছন্নরা প্রায় জম্বিদের মতোই আচরণ করছেন! কেবল ফ্লোরিডাতেই অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ‘জম্বি ড্রাগে’র (Zombie drug) ছোবলে! এর ওভারডোজের শিকার হয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি! যত সময় যাচ্ছে ততই যেন মার্কিন মুলুকে আতঙ্কের মাত্রা বাড়াচ্ছে এই ভয়ঙ্কর ড্রাগের নেশা। কেবল জুনেই নয়, তারও আগে এমন খবর মাঝে মাঝেই সামনে আসে। এই ওষুধের আসল নাম জাইলিন। আসলে গরু, ঘোড়ার মতো প্রাণীদের ঘুম পাড়াতে অর্থাৎ ট্রাঙ্কুলাইজার হিসেবেই এর ব্যবহার। কিন্তু ক্রমে এটা প্রবেশ করে মার্কিন বেআইনি মাদকের দুনিয়ায়। এটার সঙ্গে ফেন্টানাইল মিশিয়ে তৈরি হয় ভয়ংকর মাদক। যার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে।
আর এর ব্যবহারের ফলে সারা শরীরের ত্বকে সৃষ্টি হতে থাকে মারাত্মক ক্ষত। কী হয় ‘ট্রাঙ্ক’ নামে পরিচিত এই মাদক খেলে? বলা হচ্ছে, এর নেশায় টানা ঘুমোতে থাকেন নেশাগ্রস্ত। সেই সঙ্গেই তাঁর শ্বাসযন্ত্রও দুর্বল হতে শুরু করে। নিয়মিত নেশা করলে সর্বক্ষণ একটা ঝিমুনি ভাব থাকে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে থাকে! এই সময় তাঁরা প্রায় জম্বির মতোই আচরণ করতে থাকেন। কেউ চিৎকার করতে থাকেন। কেউ রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে হাত-পা বেঁকিয়ে ও মাথা নিচু করে গোঙাতে থাকেন। ক্রমে নেশা থেকে বেরতে না পারলে মৃত্যু অবধারিত। বিভিন্ন ভিডিও ইন্টারনেট ঘাঁটলে পাওয়া যাবে। যেখানে আক্রান্তদের আচরণ দেখলে সত্যিই গা শিরশির করে ওঠে।
এবিষয়ে আরও কিছু বলার আগে একবার দেখা যেতে পারে না-মানুষরাও কীভাবে জম্বি হতে পারে! কথা হচ্ছে এক ধরনের ছত্রাকের, যারা পিঁপড়েদের জম্বি বানিয়ে দিতে পারে! কীভাবে? অফিওকর্ডিসেপস ফাঙ্গাস নামের এই ছত্রাকদের পরিচয় ‘জম্বি ভাইরাস’। কোনও ভাবে সুকৌশলে পিঁপড়ের সঙ্গে আটকে গিয়ে নিজের একটি কোষ পিঁপড়ের শরীরে প্রবেশ করিয়ে দেয়। তারপর ধীরে ধীরে পিঁপড়েটিকে ভিতরে ভিতরে কুড়ে কুড়ে খেতে থাকে। কোষগুলি এক থেকে বহু হতে থাকে। ততক্ষণ পর্যন্ত তারা সংখ্যায় বাড়ে, যতক্ষণ না তাদের ভর পিঁপড়ের ভরের অর্ধেক হয়ে যায়! এরপর তারা রাসায়ণিক সংকেত পাঠাতে থাকে পিঁপড়ের মস্তিষ্কে। ব্যাস! পিঁপড়েরা অপ্রকৃতিস্থের মতো আচরণ করতে থাকে। পরে ওই পিঁপড়ের মৃত্যু হয়। তার শরীরকে অবলম্বন করে গজিয়ে উঠে আকাশের দিকে মাথা তুলতে থাকে ‘জম্বি ভাইরাস’!
‘জম্বি ডিয়ার ডিজিজ’ নামের আরেক রকমের অসুখ রয়েছে যার আসল নাম ‘ক্রনিক ওয়েস্টিং ডিজিজ’। আমেরিকা ও কানাডার অনেক প্রদেশেই মাথাচাড়া দিচ্ছে এই অসুখ। এই অসুখে আক্রান্ত হলেই হরিণরা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। ‘খুনে’ মেজাজের হরিণরা একে অপরের সঙ্গে লড়াই শুরু করে। তারপর ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, আমাদের মধ্যেই রয়ে গিয়েছে এই ধরনের পরজীবীরা। এরা কিন্তু অনায়াসেই মানুষের মগজের দখল নিতে পারে। মাছিদের শরীরেও এমন ধরনের ফাঙ্গাসের দেখা মিলেছে, যারা মাছিদের রাতারাতি এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে যে তারা জম্বিদের মতো হয়ে ওঠে। সুতরাং এই ধরনের কোনও আদ্যপ্রাণীরা ‘জম্বি অ্যাপোক্যালিপস’ ঘটাতে পারবে না, একথা নিশ্চিত করে বলবে কে? আবার কোনও গবেষণাগারেও তো তৈরি হতে পারে এমন বিপজ্জনক ভাইরাস বা অন্য কোনও ধরনের আণুবীক্ষণিক জীব!
নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্ববিখ্যাত। হিটলারের স্বৈরাচারী শাসন থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, কত কিছুই তিনি বলে গিয়েছিলেন। সেই তিনিও কিন্তু বলে গিয়েছেন জম্বিদের কথা! নস্ত্রাদামুসের দাবি, এক রুশ বিজ্ঞানী এমন একটি জৈবিক অস্ত্র তৈরি করবে যার ধাক্কায় মানুষ হয়ে উঠবে জম্বি! ক্রমে ধ্বংস হয়ে যাবে সভ্যতা! যদিও তিনি ২০২১ সালের নিরিখে ওই কথা বলেছিলেন। কিন্তু হিসেবে দু-চার বছর গোলমাল যে হবে না তাই বা কে বলতে পারে। যদিও কেউই চাইবে না, অন্তত এক্ষেত্রে নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী একদমই ফলুক।
কিন্তু জৈব অস্ত্র? আশঙ্কার মেঘ যে ক্রমেই ঘন হচ্ছে! করোনার ক্ষেত্রেও তো ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ রয়েছে। যদিও হাতেকলমে প্রমাণ এখনও হয়নি। এই অভিযোগ সত্যি হোক বা না হোক, ভয়াবহ ভাইরাস বা অন্য আদ্যপ্রাণী যে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করার কথা ভাবা হচ্ছে না সেকথা কে বলবে? আর ভবিষ্যতে এমন ভাইরাস তো তৈরিই করা হতে পারে, যা মানুষকে জম্বি বানিয়ে দিতে পারে! এই লেখার শুরুতে ‘জম্বি ড্রাগে’র কথা বলা হয়েছে। কাজেই তেমন কোনও ওষুধ, যা এটির থেকেও ঢের বিপজ্জনক, তা থেকেও ভবিষ্যতে অতিমারী হবে না, কে বলবে? আপাতত কেবল মানুষের শুভবুদ্ধি জাগ্রত থাকার প্রার্থনাটুকুই করা যেতে পারে।
আড়াল থেকে ট্রুডোকে চালনা করেন এক শিখ নেতা? কার কথায় ‘ওঠেন-বসেন’ কানাডার প্রধানমন্ত্রী?
নিজ্জর হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তবে এই ‘শত্রুতার’ শুরু হয়ে গিয়েছিল অনেক আগে। নেপথ্যে উঠে আসছে কানাডার এক শিখ নেতার নাম। খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের আঁচ এসে লেগেছে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। ওই হত্যাকাণ্ডে ভারতের যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ কানাডার। ভারতীয় এক কূটনীতিককে তারা বহিষ্কারও করেছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কেন অবনতি হল ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের? কেনই বা খলিস্তানপন্থী শিখ নেতাকে এত গুরুত্ব দিচ্ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী? সূত্রের খবর, নেপথ্যে রয়েছেন আর এক শিখ নেতা।কানাডার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)-র নেতা জগমিত সিংহ। আড়ালে বসে তিনিই ট্রুডোকে প্রভাবিত করছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। কানাডার রাজনীতিতে এই জগমিতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৪