ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান: চীনের সহযোগিতা হুমকি নয়, দাবি বেইজিংয়ের
-
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ ও চীনের প্রতিক্রিয়া
পার্সটুডে : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। এই অভিযোগের জবাবে বেইজিং স্পষ্ট করে বলেছে, তাদের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কোনো তৃতীয় দেশের বিরুদ্ধে হুমকি নয়; বরং উদ্দেশ্য কেবল কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করা।
সম্প্রতি বেইজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, “আপনারা আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। দয়া করে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দিন ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উনের কাছে।”
চীনের কঠোর প্রতিক্রিয়া
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন ট্রাম্পের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, “চীনের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা কোনোভাবেই তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে নয়। আমরা কখনো কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে অন্য দেশকে আঘাত করার চেষ্টা করিনি।”
রাশিয়ার অবস্থান
একইসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বৈদেশিক নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, “চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নেতারা বেইজিংয়ের সামরিক কুচকাওয়াজে কোনো ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা করেননি, এমনকি তাদের চিন্তাভাবনার মধ্যেও এ ধরনের বিষয় ছিল না।”
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
এই আয়োজনে চীন প্রথমবারের মতো তার আন্তঃমহাদেশীয় ডিএফ-৫এস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্থল, নৌ ও আকাশভিত্তিক পারমাণবিক ত্রিমুখী শক্তি প্রদর্শন করে, যা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তোলে।
প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতা
তবে বেইজিং ও মস্কোর যৌথ প্রতিক্রিয়া জোর দিয়ে বলছে, তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রতিরক্ষামূলক ও স্থিতিশীলতামুখী; উদ্দেশ্য হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারসাম্য রক্ষা করা, কোনো হুমকি বা আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নয়।#
পার্সটুডে/এমএআর/৬