মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে ব্রিটিশ মিথ্যাচার থেমে নেই
https://parstoday.ir/bn/news/world-i152118-মালভিনাস_দ্বীপপুঞ্জের_মালিকানা_নিয়ে_ব্রিটিশ_মিথ্যাচার_থেমে_নেই
পার্সটুডে- পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ার পরও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার পুনরায় মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জকে তাদের নিজেদের দ্বীপপুঞ্জ বলে দাবি করেছে।
(last modified 2025-09-20T10:51:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫ ২০:২৪ Asia/Dhaka
  • স্টারমার
    স্টারমার

পার্সটুডে- পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ার পরও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার পুনরায় মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জকে তাদের নিজেদের দ্বীপপুঞ্জ বলে দাবি করেছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জের (এই দ্বীপপুঞ্জকে ব্রিটিশরা ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নামে অভিহিত করে থাকে) ওপর ব্রিটেনের সার্বভৌমত্ব কখনো আলোচনার বিষয় নয় এবং এই দ্বীপপুঞ্জ চিরকাল ব্রিটিশই থাকবে। তিনি এই মন্তব্যকে নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান বলেও আখ্যা দেন। স্টারমার এ বক্তব্য দেন হাউস অব কমন্সে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে, যেখানে লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের নেতা এড ডেভি মূলত ব্রেক্সিটের কারণে মালভিনাসের মৎস্যশিল্পের ক্ষতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্ব নিয়ে নয়। ডেভি সতর্ক করে বলেছিলেন, ব্রেক্সিটের ফলে দ্বীপের জেলেরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

পটভূমি

স্টারমারের এ কঠোর অবস্থান আসে তার সরকারের চাগোস দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর সৃষ্ট সমালোচনার জবাবে। এ সিদ্ধান্তের পর লন্ডনের অন্যান্য দূরবর্তী ভূখণ্ড—বিশেষত মালভিনাস ও জিব্রাল্টার—ইস্যুতে সরকারের নীতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে।

ব্যক্তিগত ও ঐতিহাসিক সংযোগ

সংসদে স্টারমার তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি জাহির করতে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা টেনে আনেন। তিনি বলেন, তার চাচা ফকল্যান্ড যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। যদিও মালভিনাস নিয়ে ব্রিটিশ দাবি সবসময়ই লন্ডনের আনুষ্ঠানিক নীতি ছিল, যা কোনো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

অভ্যন্তরীণ সমালোচনার প্রতিক্রিয়া

এই অবস্থান ছিল মূলত অভ্যন্তরীণ সমালোচনার জবাব, যা চাগোস ইস্যুতে আর্জেন্টিনার প্রতিক্রিয়ার পর আরও জোরালো হয়। সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি যখন চাগোস চুক্তি নিয়ে বিবৃতি দেন, তখনই এ সমালোচনা প্রকাশ্যে আসে।

আর্জেন্টিনার প্রতিক্রিয়া

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা আর্জেন্টিনাকে আবারও মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব দাবি করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়ানা মন্ডিনো জোর দিয়ে বলেন, দেশটি “শূন্য বুলি নয় বরং বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে মালভিনাসের ওপর পূর্ণ সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করবে”। আর্জেন্টিনার বিরোধী দলগুলোও চাগোস ফেরত দেওয়াকে একটি নজির হিসেবে ব্যবহার করে মালভিনাস পুনরুদ্ধারের দাবি আরও জোরালো করেছে।

মালভিনাস বিষয়ক সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী গিয়েরমো কারমোনা বলেছেন, চাগোস ইস্যু প্রমাণ করে দীর্ঘমেয়াদী কূটনৈতিক চাপ ব্রিটেনকে তাদের বিদেশি ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বাধ্য করতে পারে।#

পার্সটুডে/এসএ/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।