পশ্চিমা একতরফা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের তেল উৎপাদন ও রপ্তানির উল্লম্ফন
-
গত বছরেইরানের তেল উৎপাদন ৪.৩ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছে
পার্সটুডে: পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের তেল উৎপাদন ও রপ্তানি গত বছর ৪.৩ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন, রাশিয়া ও বেলারুশের সঙ্গে নতুন জোট এই বৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত করেছে।
তেলবিষয়ক বিশেষায়িত ওয়েবসাইট অয়েল প্রাইস জানিয়েছে, ইরানের তেল উৎপাদন উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে তেহরানের নতুন আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের তেলমন্ত্রী মোহসেন পাকনেজাদ সম্প্রতি বেলারুশের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, চলতি বছরও তেহরান উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।
এক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, তেল শিল্পে প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম সরবরাহে রাশিয়া ইরানকে সহায়তা করছে এবং দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি অনুযায়ী চীন ইরানের প্রধান তেলগ্রাহক হিসেবে রয়ে গেছে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর ইরান তেল ও গ্যাস শিল্প শক্তিশালী করতে নতুন আন্তর্জাতিক সহযোগীর সন্ধান শুরু করে। বর্তমানে চীন ও রাশিয়া তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। বেইজিং নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের তেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে এবং রাশিয়া প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।
ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, নতুন আমদানি কোটা অনুমোদনের পর চীনের স্বাধীন শোধনাগারগুলো ইরানি তেল কেনা আরও বাড়িয়েছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলার-এর তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে চীন প্রতিদিন ১.৩৫ মিলিয়ন ব্যারেল ইরানি তেল আমদানি করেছে- যা আগস্টের পর সর্বোচ্চ।
গত সোমবার বেলারুশের জ্বালানিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ইরানের তেলমন্ত্রী পাকনেজাদ বলেন, তেহরান তেল ও গ্যাস খাতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় এবং এই খাতে 'সোনালি বিনিয়োগের সুযোগ' রয়েছে। এই বৈঠকটি দুই দেশের প্রেসিডেন্টদের সাম্প্রতিক আলোচনার পর অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন খাতে বহু চুক্তি সই হয়। ইরান ও বেলারুশের প্রেসিডেন্টদের আনুষ্ঠানিক বৈঠকটি ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে মিনস্কে অনুষ্ঠিত হয়।
এই সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো'র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও যৌথ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।#
পার্সটুডে/এমএআর/১২