আয়ারল্যান্ডে কনোলির বিজয়; ইউরোপে ইহুদিবাদী লবির ওপর আঘাত
https://parstoday.ir/bn/news/world-i153466-আয়ারল্যান্ডে_কনোলির_বিজয়_ইউরোপে_ইহুদিবাদী_লবির_ওপর_আঘাত
পার্সটুডে-আইরিশ নির্বাচনের ফলাফলের কথা উল্লেখ করে একজন আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বলেছেন: ক্যাথরিন কনোলির বিজয় ইউরোপীয়দের ব্যাপক জাগরণ এবং বয়ানের যুদ্ধে ইহুদিবাদীদের পরাজয়ের প্রমাণ।
(last modified 2025-10-29T09:12:28+00:00 )
অক্টোবর ২৮, ২০২৫ ১৬:০০ Asia/Dhaka
  • আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন কনোলি
    আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন কনোলি

পার্সটুডে-আইরিশ নির্বাচনের ফলাফলের কথা উল্লেখ করে একজন আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বলেছেন: ক্যাথরিন কনোলির বিজয় ইউরোপীয়দের ব্যাপক জাগরণ এবং বয়ানের যুদ্ধে ইহুদিবাদীদের পরাজয়ের প্রমাণ।

ক্যাথরিন কনোলি যখন আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের বাইরেও সেই জোয়ারের ঢেউ অনুভূত হয়। পার্সটুডে আরও জানায়, মিডল ইস্ট মনিটরের বিশ্লেষক লিখেছেন: তার বিজয় কোনও প্রতীকী ইঙ্গিত কিংবা কোনও সাধারণ রাজনৈতিক মোড় ছিল না। এটা বরং ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি নৈতিক প্রতিবাদ এবং তিরস্কার ছিল।

বিশেষজ্ঞ বলেন, কনোলির বিজয় প্রমাণ করেছে ইউরোপীয় ভোটাররা, একবার সম্পূর্ণরূপে জাগ্রত এবং সচেতন হয়ে গেলে, গাজার গণহত্যাকে "আত্মরক্ষা" এবং দখলকে "নিরাপত্তা" বলে আর বোকা বানানো যাবে না।

আয়ারল্যান্ড দখলদারিত্ব সম্পর্কে পাঠ্যপুস্তক থেকে নয় অভিজ্ঞতা থেকে জেনেছে। এরা এমন এক জাতি যারা অবরোধ, দখলদারিত্ব এবং ঔপনিবেশিক ক্ষমতার যন্ত্রের কথা মনে রাখে। যতই অর্থের জোগান থাকুক না কেন, কোনও মিডিয়াই আইরিশদের বোঝাতে পারে না যে বন্দী অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা দখলদারের "অধিকার"। এ কারণেই ইসরাইলের সাম্প্রতিক নৃশংসতার সময় আয়ারল্যান্ডের রাস্তাগুলো গাজার প্রতি সংহতিতে ভরে গিয়েছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা যেমন ঘোষণা করেছিলেন, "ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ছাড়া আমাদের স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ।" অনেক আইরিশ ভোটারের কাছে, ক্যাথরিন কনোলি সেই নৈতিক প্রবৃত্তির মূর্ত প্রতীক।

মিডল ইস্ট মনিটর বিশ্লেষক লিখেছেন: কনোলি রূপকের পর্দা সরিয়ে ফেলেছেন। সেইসঙ্গে দখলদার আর দখলিকৃত শব্দগুলোকে সমার্থক মনে করেন এবং পশ্চিমা নেতারা যে রূপকগুলোর আড়ালে লুকিয়ে আছেন সেগুলো পুনরাবৃত্তি করতেও অস্বীকার করেছেন।

বিশ্লেষকের মতে, ফিলিস্তিনিদের জন্য, বিশেষ করে যারা তাদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত, কনোলির বিজয় প্রমাণ করে যে পাশ্চাত্যে ন্যারেটিভের লড়াইকে জয় করা যেতে পারে।

মিডল ইস্ট মনিটর বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন: এটি একটি কৌশলগত সূচনা যা শক্তিশালী জোট তৈরি করতে, মহাদেশে সেন্সরশিপ কাটিয়ে উঠতে এবং ইউরোপীয় নাগরিক সমাজের গভীরে ফিলিস্তিনি কণ্ঠস্বরকে নিয়ে আসার জন্য প্রসারিত করা উচিত। আয়ারল্যান্ড ইউরোপ, ফিলিস্তিন এবং প্রতিটি জাতিকে যে বার্তাটি পাঠিয়েছে তা হলো: ঔপনিবেশিক সহিংসতার যুগের অবসান ঘটছে।#

পার্সটুডে/এনএম/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।