যুদ্ধ থেকে পুঁজির খনি: রক্ত দিয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে অস্ত্র-নির্ভর অর্থনীতি
https://parstoday.ir/bn/news/world-i154630-যুদ্ধ_থেকে_পুঁজির_খনি_রক্ত_দিয়ে_সমৃদ্ধ_হচ্ছে_অস্ত্র_নির্ভর_অর্থনীতি
পার্সটুডে- যখনই কোনো যুদ্ধের আগুন জ্বলে ওঠে, অস্ত্র-কারখানা এবং যুদ্ধনির্ভর অর্থনীতিগুলো রক্তমাখা সম্পদের নতুন এক সিম্ফনি বাজাতে শুরু করে। শেয়ারমূল্য বেড়ে যায় এবং তাদের মুনাফা ফুলে-ফেঁপে ওঠে।
(last modified 2025-12-01T13:30:06+00:00 )
ডিসেম্বর ০১, ২০২৫ ১৯:১৮ Asia/Dhaka
  • যুদ্ধ থেকে পুঁজির খনি: রক্ত দিয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে অস্ত্র-নির্ভর অর্থনীতি
    যুদ্ধ থেকে পুঁজির খনি: রক্ত দিয়ে সমৃদ্ধ হচ্ছে অস্ত্র-নির্ভর অর্থনীতি

পার্সটুডে- যখনই কোনো যুদ্ধের আগুন জ্বলে ওঠে, অস্ত্র-কারখানা এবং যুদ্ধনির্ভর অর্থনীতিগুলো রক্তমাখা সম্পদের নতুন এক সিম্ফনি বাজাতে শুরু করে। শেয়ারমূল্য বেড়ে যায় এবং তাদের মুনাফা ফুলে-ফেঁপে ওঠে।

আল-জাজিরার বরাতে পার্সটুডে'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট বা এসআইপিআরআই'র সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আয় পৌঁছেছে ৬৭৯ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বৃদ্ধি।

গল্পের শুরু গাজা ও ইউক্রেন থেকে- দু'টি যুদ্ধক্ষেত্র, যা আন্তর্জাতিক অস্ত্রবাজারকে ব্যাপক চাঙা করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন ও নরথ্রপ গ্রামেন'র মতো জায়ান্ট কোম্পানিগুলো বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানিও প্রথমবারের মতো শীর্ষ সামরিক–উৎপাদনকারী কোম্পানির তালিকায় স্থান পেয়েছে; কারণ ২০২৩ সালের তুলনায় এর সামরিক আয় দুই গুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৮ বিলিয়ন ডলারে।

ইউরোপে জার্মানি ও চেক রিপাবলিকের কোম্পানিগুলো আর্টিলারি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি বাড়িয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।

কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ শুধু পশ্চিমে সীমাবদ্ধ নয়। গাজা যুদ্ধের মধ্যেও বর্ণবাদী ইসরায়েল তার সামরিক আয় ১৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। ইসরায়েলের তিন বৃহৎ সামরিক কোম্পানি—এলবিট, ইসরায়েল এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রাফায়েল—বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লাভ করেছে; বিশেষ করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তাদের অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমের চাহিদা নজিরবিহীনভাবে বেড়ে গেছে।

এশিয়ায় চীনের সামরিক আয় কমেছে ও সামরিক চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগের কারণে তারা পিছিয়ে পড়েছে; তবে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ইউরোপসহ নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। তুরস্কের বায়রাকতার ড্রোন আবারও সামরিক রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

এটা কেবল একটি পরিসংখ্যান নয়- এটি এমন এক বিশ্বের কাহিনি, যেখানে প্রতিটি সংকট সামরিক কোম্পানিগুলোর জন্য লাভের সুযোগে পরিণত হয়।
বার্তাটি স্পষ্ট- প্রতিটি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা শুধু নিরাপত্তাকে বিপন্নই করে না, যুদ্ধবাণিজ্যের বাজারকেও উত্তপ্ত করে তোলে। এটা এমন এক বাজার, যার মুনাফা জমা হয় অস্ত্র–উৎপাদনকারীদের পকেটে, আর যার খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকে।#

পার্সটুডে/এসএ/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।