উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের পশ্চিম রুট উন্নয়নের জন্য বাকুতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি
-
উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের পশ্চিম রুট উন্নয়নের জন্য বাকুতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি
পার্সটুডে-ইরান, আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র এবং রাশিয়ার রেলওয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা পারস্পরিক সহযোগিতা উন্নয়নের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন।
কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস (CIS)-এর পরিবহন কাউন্সিলের ৮৩তম অধিবেশন ১৫টি সদস্য দেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে বাকুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্সটুডে জানায়, সিআইএস অধিবেশনের অবকাশে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রেলওয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাব্বার আলি জাকেরি, আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের রেলওয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী ও লাভজনক সহযোগিতা বিকাশের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। এই স্মারকলিপিতে উত্তর-দক্ষিণ আন্তর্জাতিক করিডোরের পশ্চিম রুটে পণ্য পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ, প্রতিযোগিতামূলক হার নির্ধারণ এবং লজিস্টিক পরিষেবা বিকাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই স্মারকলিপির ভিত্তিতে, তিনটি দেশ আবারও টেকসই এবং পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়েছে। সেইসাথে উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের পশ্চিম রুটকে একটি সক্রিয় আঞ্চলিক করিডোরে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
রাশত-আস্তারা রেলপথ বাস্তবায়নের কাউন্ট-ডাউন শুরু
ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার সাথে সাথে, রাশত-আস্তারা রেলপথ প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে প্রবেশ করবে এবং উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের চূড়ান্ত কার্যক্রম শুরু করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের অনুপস্থিত লিঙ্ক হিসাবে রাশত-আস্তারা রেলপথ প্রকল্পটি একটি নির্ধারক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে এবং রাশিয়ার ঠিকাদাররা আসছে।
এই প্রেক্ষাপটে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফারজানেহ সাদেক প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সর্বশেষ অবস্থা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন: এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার রুট অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং তৈরি পরিকল্পনার ভিত্তিতে, রুটের সম্পূর্ণ অধিগ্রহণ এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ রুশ ঠিকাদারকে এটি সরবরাহ করা হবে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক পরিবহনের ক্ষেত্রে ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত ১৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পটি আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের মাধ্যমে দেশটিকে রাশিয়া এবং তারপর ইউরোপের সাথে সংযুক্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্যাস্পিয়ান সাগর এবং ককেশাসের বন্দরগুলোর সাথে সরাসরি সংযোগ তৈরি করার পাশাপাশি, পণ্য পরিবহন ক্ষমতা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক করিডোরে ইরানের ভূমিকা প্রচার এবং গিলান প্রদেশ এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এই রুটকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মূল্যায়ন করা হয়।#
পার্সটুডে/এনএম/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।