তুরস্কে শত শত এনজিও বন্ধ ঘোষণা; প্রতিবাদে বিক্ষোভ
https://parstoday.ir/bn/news/world-i25555-তুরস্কে_শত_শত_এনজিও_বন্ধ_ঘোষণা_প্রতিবাদে_বিক্ষোভ
তুরস্ক সরকার দেশটির ৩৭০টি বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও বন্ধ করে দিয়েছে। গত জুলাই’র ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে ইস্তাম্বুল ও জার্মানিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
নভেম্বর ১৩, ২০১৬ ০৭:১০ Asia/Dhaka
  • তুরস্কে এনজিও বন্ধের প্রতিবাদে জার্মানি কোলন শহরে হাজার হাজার কুর্দি নাগরিকের বিক্ষোভ
    তুরস্কে এনজিও বন্ধের প্রতিবাদে জার্মানি কোলন শহরে হাজার হাজার কুর্দি নাগরিকের বিক্ষোভ

তুরস্ক সরকার দেশটির ৩৭০টি বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও বন্ধ করে দিয়েছে। গত জুলাই’র ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে ইস্তাম্বুল ও জার্মানিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।

তুরস্কের উপ প্রধানমন্ত্রী নুমান কুরতুলমুস দাবি করেছেন, এসব এনজিও পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়নি বরং সাময়িকভাবে এগুলোর তৎপরতা স্থগিত করা হয়েছে। তিনি শনিবার দাবি করেন, এসব এনজিও’র প্রত্যেকটির সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সম্পর্ক রয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্ধ করে দেয়া এনজিওগুলোর ১৫৩টির সঙ্গে বিরোধী নেতা গুলেনের, ১৯০টির সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত পিকেকে বিদ্রোহীদের, আটটির সঙ্গে দায়েশের এবং ১৯টির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী পিপলস লিবারেশন আর্মির সম্পর্ক রয়েছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের জন্য আঙ্কারা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিরোধী নেতা গুলেনকে দায়ী করছে। এ ছাড়া, তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর তালিকায় স্থান পেয়েছে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকে। গত কয়েক মাস ধরে তুর্কি বিমানবাহিনী তুরস্ক, ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পিকেকে অবস্থানে বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে।

কুরতুলমুস বলেন, তুরস্ককে বিভিন্ন ফ্রন্টে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গুলেনপন্থিদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে কুর্দি বিদ্রোহী এবং দায়েশ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আঙ্কারার লড়াই চলছে বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া অন্যতম এনজিও- প্রগ্রেসিভ লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, বৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা আইনি লড়াইয়ে যাবে। আদালতের রায় ছাড়া তারা তাদের তৎপরতা বন্ধ করবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে এনজিওটি।

বন্ধ হয়ে যাওয়া এনজিওগুলোর উদ্যোগে তুরস্কের বৃহত্তম নগরী ইস্তাম্বুলে শনিবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এ ছাড়া, শনিবার জার্মানির কোলন শহরে বিক্ষোভ করেছেন পিকেকে-পন্থি হাজার হাজার মানুষ।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/১৩