আপনারা যত মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তার মধ্যে আমি কম বর্ণবাদী: ট্রাম্প
https://parstoday.ir/bn/news/world-i51377-আপনারা_যত_মানুষের_সাক্ষাৎকার_নিয়েছেন_তার_মধ্যে_আমি_কম_বর্ণবাদী_ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকটি দেশকে ‘শিটহোল’ বা ‘নোংরা দেশ’ বলে সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন এখন তিনি তা অস্বীকার করছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ১৫, ২০১৮ ১৩:৩৯ Asia/Dhaka
  • মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকটি দেশকে ‘শিটহোল’ বা ‘নোংরা দেশ’ বলে সম্প্রতি যে বক্তব্য দিয়েছেন এখন তিনি তা অস্বীকার করছেন।

গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে মার্কিন আইন প্রণেতাদের এক বৈঠকে ট্রাম্প অভিবাসীদেরকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন নোংরা দেশগুলো থেকে মানুষ আমেরিকায় আসে। তিনি মূলত এল সালভেদর, হাইতি ও আফ্রিকান দেশগুলো থেকে আমেরিকায় অভিবাসন গ্রহণকারী মানুষকে উদ্দেশ করে একথা বলেন। ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও কূটনীতি-বহির্ভূত বক্তব্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তার এ বক্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে চরম সমালোচনা শুরু হয়েছে।

তবে ট্রাম্প গতকাল (রোববার) হোয়াইট হাউজে সাংবদিকদের কাছে এ বক্তব্য অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “না, আমি বর্ণবাদী নই। আপনারা এ পর্যন্ত যত ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তার মধ্যে আমি সবচেয়ে কম বর্ণবাদী।” ট্রাম্প আরো বলেন, “আপনারা দেখেছেন কত সিনেটর আমার মন্তব্য সম্পর্কে কথা বলছেন? তারা তো বানানো কথা বলছেন না।”

আমেরিকায় বসবাসরত অভিবাসী

বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের আপত্তিকর বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর হোয়াইট হাউজ তা অস্বীকার করে নি বরং হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল- “প্রেসিডেন্ট এমন একটি অভিবাসন নীতি চান যার ফলে আমেরিকায় আসা লোকজন আমাদের সমাজের জন্য অবদান রাখতে পারেন।”  

এরপর ট্রাম্প শুক্রবার টুইটার বার্তায় দাবি করেন, তিনি হাইতির জনগণ সম্পর্কে কোনো অবমাননাকর কিছু বলেন নি। ট্রাম্প বলেন, “হাইতি যা তার চেয়ে আমি কখনো হাইতি সম্পর্কে অবমাননাকর কিছু বলি নি, অবশ্যই হাইতি একটি দরিদ্র ও সমস্যাগ্রস্ত দেশ। তবে আমি কখনো বলিনি, ‘তাদেরকে বের করে দাও’। এ কথা ছড়িয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।”

ট্রাম্প তার বক্তব্য অস্বীকার করলেও হোয়াইট হাউজে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থিত থাকা সিনেটর ডিক ডারবিনসহ কয়েকজন আইন প্রণেতা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ওই অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। এর মধ্যে কংগ্রেসম্যান জন লুইস শুক্রবার বলেছেন, ট্রাম্পের পরিবারের মধ্যেই রয়েছে বর্ণবাদ। বর্ণবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ক্লু ক্ল্যাক্স ক্ল্যানের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ট্রাম্পের বাবা ফ্রেড ট্রাম্প ১৯২৭ সালে আটক হয়েছিলেন।#

পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/১৫