অস্ট্রিয়ার সিদ্ধান্তে ধর্মযুদ্ধ শুরু হতে পারে: এরদোগান
https://parstoday.ir/bn/news/world-i58740-অস্ট্রিয়ার_সিদ্ধান্তে_ধর্মযুদ্ধ_শুরু_হতে_পারে_এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, বহুসংখ্যক মসজিদ বন্ধ এবং এসব মসজিদের ইমামদের বহিষ্কারের বিষয়ে অস্ট্রিয়া সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তে বিশ্বে ধর্মযুদ্ধ শুরু হতে পারে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুন ১০, ২০১৮ ২০:৩০ Asia/Dhaka
  • তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান
    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, বহুসংখ্যক মসজিদ বন্ধ এবং এসব মসজিদের ইমামদের বহিষ্কারের বিষয়ে অস্ট্রিয়া সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তে বিশ্বে ধর্মযুদ্ধ শুরু হতে পারে।

গত শুক্রবার অস্ট্রিয়ার সরকার দেশটির সাতটি মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি ৬০ জন ইমামকে দেশ থেকে বের করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলেও জানিয়েছে। শুক্রবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ বলেন, দেশটিতে রাজনৈতিক ইসলামের কোনো স্থান নেই।

ভিয়েনার একটি মসজিদ

এ প্রসঙ্গে এরদোগান গতকাল (শনিবার) ইস্তাম্বুলে বলেন, “অস্ট্রিয়ার সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে আমি আশংকা করি বিশ্ব একটি যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাবে যাতে জড়িয়ে পড়বে ‘ক্রুশ ও ক্রিসেন্ট’র অনুসারিরা।” তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, “তারা বলছেন যে, তারা আমাদের ধর্মীয় ব্যক্তিদের অস্ট্রিয়া থেকে বহিষ্কার করে দেবেন। আপনারা কী মনে করেন যে, এ ধরনের পদক্ষেপ নিলে আমরা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাব না? আমরাও একই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।”

অস্ট্রিয়ার সরকার যে সাতটি মসজিদ বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে তিনটি রয়েছে ভিয়েনায়। এসব মসজিদের কোনো কোনোটির ওপর তুরস্কের ডানপন্থি সংস্থা কথিত 'গ্রে উলফের' প্রভাব থাকার অজুহাত দিচ্ছে ভিয়েনা সরকার।

অস্ট্রিয়ায় প্রায় ছয় লাখ মুসলমানের বসবাস রয়েছে। দেশটির সরকার এসব মুসলমানের বিরুদ্ধে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। ২০১৭ সালে ভিয়েনা সরকার মুসলিম নারীদের প্রকাশ্যে বোরখা ও নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইন পাস করেছে। এই আইন অমান্যকারী নারীদেরকে পুলিশ আটক করতে পারবে এবং ১৫০ ইউরো বা ১৮০ ডলার জরিমানা করতে পারবে।#

পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/১০