মারজিয়া হাশেমি আটক: পাকিস্তানে প্রতিবাদ
-
মারজিয়া হাশেমির মুক্তির দাবি উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভির নারী সাংবাদিক ও নিউজ প্রেজেন্টার মারজিয়া হাশেমির আটকের প্রতিবাদে পাকিস্তানের করাচি শহরে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন।
আজ (সোমবার) করাচি শহরে এ বিক্ষোভের সময় অংশগ্রহণকারীরা মারজিয়া হাশেমিকে বিনা অভিযোগে আমেরিকায় আটক রাখার নিন্দা জানান। তারা বলেন, এ ধরনের আটক হচ্ছে মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং বাক-স্বাধীনতার পরিপন্থি।
এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জন স্টেপলিং বলেছেন, মারজিয়া হাশেমিকে আটক করার মধ্যদিয়ে আমেরিকা ‘বৃদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাসবাদ’ চালিয়েছে। তিনি বলেন, ইরানের স্বাধীনচেতা নীতিতে আমেরিকা খুব বেশি ক্ষুব্ধ।
আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী মার্জিয়ার আগের নাম ছিল মেলানি ফ্রাঙ্কলিন। খ্রিস্টান পরিবারে বেড়ে ওঠা এই নারী পরিণত বয়সে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনি (রহ.)’র চিন্তাদর্শনে প্রভাবিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। একজন ইরানি নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর তিনি নিজের জন্য মার্জিয়া হাশেমি নাম বেছে নেন।

তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভির সাংবাদিক ও নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তাকে গত রোববার আমেরিকার মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস ল্যাম্বার্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। কিন্তু মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তাকে যোগাযোগ করতে দেয়া হয় নি এবং এই দুই দিন তিনি কার্যত নিখোঁজ ছিলেন।
মার্জিয়া হাশেমি নিজের অসুস্থ ভাইকে দেখতে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমেরিকা সফরে গিয়ে বিমানবন্দরেই আটক হন। তিনি তার মেয়েকে জানিয়েছেন, তাকে হ্যান্ডকাফ ও ডাণ্ডাবেরি পরানো হয়েছে এবং তার সঙ্গে দাগী আসামীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে। প্রেস টিভির এই ধর্মপ্রাণ নারী সাংবাদিক আরো জানিয়েছেন, মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী জোর করে তার হিজাব খুলে ফেলে সেই অবস্থায় তার ছবি তুলেছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২১
- খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন
#freemarziyehhashemi
#pray4marziehhashmei