২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে মিশরে সিসি'র গণভোট শুরু
(last modified Sat, 20 Apr 2019 13:36:14 GMT )
এপ্রিল ২০, ২০১৯ ১৯:৩৬ Asia/Dhaka
  • সিসি
    সিসি

মিশরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আস-সিসি'র ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে সেদেশে আজ (শনিবার) থেকে গণভোট শুরু হয়েছে। তিন দিন ধরে এ গণভোট চলবে। এর ফলে অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত সিসি'র ক্ষমতায় থাকার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

গণভোটের মাধ্যমে সংবিধানে যে পরিবর্তন আনা হবে তাতে সিসি'র বর্তমান মেয়াদ আরও ছয় বছর বাড়বে এবং ২০২৪ সালে আবারও নির্বাচনে আসতে পারবেন তিনি। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আরও ছয় বছর অর্থাৎ ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন তিনি। এ ছাড়া প্রধান বিচারক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ ও আইনজীবী নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ থাকবে তার হাতে। এর বাইরে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাও হাতে থাকবে।

গত মঙ্গলবার মিশরের সংসদ সিসির ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব অনুমোদন করে। সিসির সমর্থকরা দাবি করছেন, দেশটির অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও প্রধান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য এ পরিবর্তন প্রয়োজন। তবে তার বিরোধীরা বলছেন, সিসির ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, গণভোটের ফলাফল পূর্বনির্ধারিত। গণভোট কেবল মাত্র লোকদেখানো একটি প্রক্রিয়া।

২০১৩ সালে সিসি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত মিশরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করেন। সে সময় সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পরে ২০১৪ সালের নির্বাচন দিয়ে জয়ের ঘোষণা দেন তিনি। ওই সময় তার প্রশাসন দাবি করে, সিসির পক্ষে ৯৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। গত বছরের এপ্রিলেও মিশরে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দেন আবদেল ফাত্তাহ আস-সিসি। ওই নির্বাচনেও ৯৭ শতাংশ ভোট তার পক্ষে পড়েছে বলে জানানো হয়।#

পার্সটুডে/সোহেল আহম্মেদ/২০

ট্যাগ